শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৮ মে :হাসপাতালে কোভিডের ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ ছিল ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া । ভ্যাকসিন সরবরাহ হওয়ায় দিন দুয়েক ধরে ফের টীকা দেওয়া শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে । আর ভ্যাকসিনেশন শুরু হতেই টীকা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ছে । বাড়ি থেকে সঙ্গে করে খাবার দাবার নিয়ে এসে ভোর রাত থেকে হাসপাতাল চত্বরে লাইন দিচ্ছেন টীকা নিতে ইচ্ছুক মহিলা ও পুরুষরা । ভিড় এতটাই মাত্রা ছাড়া যে শিকেয় উঠেছে করোনা বিধি মেনে চলার তাগিদ । এদিকে প্রতিদিন ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে ।
শুক্রবার সকালে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল ৬০০-৭০০ মানুষ কোভিডের টীকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন । তাঁদের মধ্যে কেউ এসেছেন প্রথম ডোজ নিতে,কেউ দ্বিতীয় ডোজ । তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার সংখ্যাই বেশি । স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে,বিগত দু’দিন ধরে ভোর রাত থেকে মানুষ হাসপাতালে এসে লাইন দিচ্ছেন । দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে কেউ এসেছেন টোটোয় চড়ে ৷ কেউবা সাইকেল ও বাইকে চড়ে এসে হাসপাতালের সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন । সঙ্গে করে নিয়ে আসছেন জল, মুড়ি,বিস্কুট প্রভৃতি খাদ্য সামগ্রী ৷ দিনভর লাইনে দাঁড়িয়ে টীকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা ।
এদিন ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে হাসপাতালে আসেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য মহেন্দ্র হাজরা । তাঁরা ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন । মানগোবিন্দবাবু বলেন, ‘হাসপাতালে এসে দেখলাম অল্প জায়গার মধ্যে অনেক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে । তাই সামাজিক দূরত্ব ঠিকমত পালন হচ্ছে না । এনিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি । যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানুষ টীকা নেওয়ার জন্য লাইন দিতে পারেন তার বিকল্প ব্যবস্থা করার বিষয়ে ওনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ।’
মহেন্দ্র হাজরা বলেন, ‘১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সের সকলকেই টীকা দেওয়া শুরু হয়েছে । আজ যারা হাসপাতালে এসেছে তাঁরা সকলেই টীকা পাবেন । ভাতার হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৬০০-৭০০ জনকে টীকাকরনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ।’।