এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাদাউন,২৫ মে : আগে থেকেই ৫ কন্যাসন্তান ছিল । তাই চেয়েছিল একটা পুত্রসন্তান হোক । এদিকে স্ত্রী ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে । কিন্তু কিছুতেই গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারন করতে পারছিল না উত্তরপ্রদেশের বাদাউনের বাসিন্দা পান্না লাল নামে এক ব্যক্তি । তাই গর্ভস্থ সন্তান স্ত্রী না পুরুষ জানতে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেট চিরে দিয়েছিল সে । বরাত জোরে স্ত্রী অনিতা প্রাণে বেঁচে গেলেও তার পেটে বেড়ে ওঠা শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। এই মামলায় ঘাতক পান্না লালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের একটা আদালত ।
অনিতার ভাই রবি সিং বলেন,’পান্না লাল ও অনিতার ২৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ৷ তাদের ৫ মেয়ে রয়েছে । বোনের গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে সে চিন্তিত ছিল ।
আমার বোন যখন ষষ্ঠবার গর্ভবতী হল, তখন আমি পান্নাকে সঙ্গে গ্রামের পণ্ডিতের কাছে যাই। পণ্ডিতরা বলেছিলেন, এবারও মেয়ে হবে, এতে বিরক্ত পান্না লাল তাঁর স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে কি না জানতে তার পেট চিরে ফেলে ।’ জানা গেছে,রক্তাক্ত অবস্থায় অনিতাকে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজংয়ের হাসপাতালে । সেখানে একটি অস্ত্রোপচার করে অনিতার জীবন রক্ষা করা হয় । কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয় ।।
তথ্যসূত্র ও ছবি : সৌজন্যে কানাডা প্রভা