প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৭ মে : অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া যুবকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক দম্পতি ।ধৃতরা হলেন সাইমন হাঁসদা ওরফে শ্যামল ও তার স্ত্রী আরতি মূর্মূ।পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ বুধবার বনপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে । এই দুই ধৃতকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে মন্তেশ্বরের ধামাচিয়ার শিয়ালমারা নিবাসী যুবক ফিলিমান হাঁসদাকে খুন করে তাঁরা দেহ কোথায় পুঁতে দিয়েছে। এদিন বিকালে পুলিশ বনপুরের অদূরের ক্যানেল পাড়ের একটি জায়গার মাটি খুঁড়ে ফিলিমান হাঁসদার মৃতদেহ উদ্ধার করে । এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মন্তেশ্বরের বাসিন্দা মহলে । অভিযুক্ত দম্পতির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছে মৃত যুবকের পরিবার ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,মন্তেশ্বরের ধামাচিয়া শিয়ালমারার যুবক ফিলিমান হাঁসদা সপ্তাহ খানেক আগে মন্তেশ্বরের বিনপুরে কাজে যায় । তারপর সে আর বাড়ি ফেরে নি । সে নিখোঁজ থাকে ।যুবকের পরিবারের লোকজন বিভিণ্ন ভাবে খোঁজ চালিয়ে জানতে পারে মণ্তেশ্বরের বিনপুর নিবাসী দম্পতি সাইমন হাঁসদা ও তাঁর স্ত্রী আরতি মূর্মূর সঙ্গেও ফিলিমানের যোগাযোগ ছিল এমনটা জানার পর যুবকের পরিবারের লোকজনের দম্পতির প্রতি সন্দেহ তৈরি হয় । তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায় ।দম্পতির বিরুদ্ধে তারা মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগও দায়ের করে । দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশদম্পতিকে জেরা করা শুরু করে । টানা জেরার ভেঙে পড়ে দম্পতি পুলিশকে জানায়,তাঁরাই যুবক ফিলিমানকে খূন করে তার দেহ
বনপুরের অদূরে ক্যানেলের ধারে একটি জায়গায় পুঁতে দিয়েছে । দম্পতির দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে এদিন পুলিশ ফিলিমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে ।যুবকে খুনের কারণ এখনও পরিস্কার না হলেও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন,এক যুবককে মেরে ফেলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়।এরপরেই ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে। ওইদিনই ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে মৃতদেহটি ।’।