এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়,১৩ ফেব্রুয়ারী : শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধুর দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার দেবপুর গ্রামে । মৃতার নাম দোলনচাঁপা মাজি( ২২) । শুক্রবার রাতে বধুর দেহ উদ্ধার করে ভাতাড় থানার পুলিশ । অবশ্য পুলিশ যাওয়ার তার আগেই চম্পট দেয় বধুর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । মৃতার মৃতার বাবা সঞ্জয় গড়াইয়ের সন্দেহ জামাই সুজন মাজি তাঁর মা-বাবা ও বোন মিলে তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,দেহটি শনিবার ময়নাতদন্তের বর্ধমান হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভাতারের বামুনাড়া গ্রামে বাপের বাড়ি মৃতা দোলনচাঁপা মাঝির । দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রংমিস্ত্রি সুজন মাঝির সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল । বছর তিনেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে ।
সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ,” আমার মেয়ে প্রেমবিবাহ করলেও বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাই ও তার পরিবারের লোকজন বরপনের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে । তা না পেয়ে মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল । একথা মেয়ে আমাকে এসে বলতো । তারপর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের মারফত খবর পাই দোলনচাঁপা মারা গিয়েছেন । সঙ্গে সঙ্গে দেবপুর গ্রামে যাই । সেখানে আমার মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পাই । আমার মেয়ের গলায় কালো দাগ ছিল । তা থেকে আমার অনুমান আমার মেয়ের স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ি,ননদ মিলে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে ওরা মেরে দিয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তরা পলাতক । তাঁদের সন্ধান চালানো হচ্ছে ।।