দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৪ মে : টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । শনিবার গভীর রাতে কাটোয়ার দাঁইহাটের রেলগেটের কাছাকাছি ১৬ বছরের ওই কিশোরীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে রেলপুলিশ । মৃত কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । এই মর্মে কাটোয়ার গোপখাজি গ্রামের এক যুবক ও তার সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে রবিবার কাটোয়া থানায় একটি এফআইআর রজু করেছেন মৃত কিশোরীর বাবা । অভিযোগে তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন,ওই যুবক ও তার সঙ্গীসাথীরা তার মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করত। মোবাইলে ফোন করে কুপ্রস্তাব দিত। তারাই মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করেছে । তিনি দুটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করেছেন অভিযোগপত্রে । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে । পুলিশ আরও জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরীর মৃতদেহটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে । ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই জানা যাবে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,কাটোয়ার আখড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল ওই কিশোরী । আখড়া গ্রামেই তাদের বাড়ি । দু’বোনের মধ্যে সে বড় ছিল । প্রতিবেশী এক মহিলার কাছে টিউশন পড়ত ওই কিশোরী । অনান্য দিনের মত শনিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ সে টিউশন পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি । এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ গৃহশিক্ষিকার কাছ থেকে কিশোরীর পরিবার জানতে পারে যে পড়তে যায়নি । একথা শুনে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন । কিন্তু তারা মেয়েটির কোনো সন্ধান পায়নি ৷ শেষে দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির দ্বারস্থ হয় পরিবার । রবিবার কাটোয়া জিআরপির কাছ থেকে কিশোরীর পরিবার রেললাইনের ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে । এরপর এদিন সকালে মর্গে গিয়ে মৃতদেহ দেখে সনাক্ত করেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন ।।
প্রতীকী ছবি ।