এইদিন ওয়েবডেস্ক,নন্দীগ্রাম(পূর্ব মেদিনীপুর), ০৯ জুন : ২০২৪ লোকসভা ভোটে এরাজ্যে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির । ২০১৯ সালে বেজেপির জেতা ১৮ টি আসন থেকে ৬ টি আসন কমে গেছে । তবে বেশ ফলাফলের নিরিখে বেশ কিছু অতিরিক্ত বিধানসভায় বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেছেন, ‘আমরা ৯০ টা বিধানসভায় এগিয়ে আছি এরাজ্যে । ১৪৬ টা বিধানসভায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছি । আমাদের আর দুই শতাংশ ভোট বাড়ালে ১৪৬ টা বিধানসভা জিতে যাব । ৯০ টা বিধানসভা ধরে রেখে আরও ৫৮ টা বিধানসভা তে মানুষের আস্থা অর্জন করে এগোতে হবে । মানুষের আস্থা তো আছেই, ত্রুটি মুক্ত নির্বাচন করতে হবে ।’
নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার সাউদখালিতে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী প্রৌঢ়া রথীবালা আড়ির(৫৬) বাড়িতে শনিবার মৃতার পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী । সেই সময় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই দাবি করেন । শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আমরা ২ কোটি ৩৫ লাখ ভোট পেয়েছি । তৃণমূল পেয়েছে ২ কোটি ৭০-৭৫ লাখ ভোট । ৪০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছে । তার মধ্যে ৪০ লক্ষই ছাপ্পা ভোট আছে। শুধু দশ লাখ ছাপ্পা মেরেছে ডায়মন্ড হারবারে। ঘাটাল লোকসভার কেশপুরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছাপ্পা মেরেছে । আমরা জনতা জনার্দনের আশীর্বাদে যা পাওয়ার পেয়েছি । বারোটার জায়গায় ২১ হলে সবাই খুশি হত, আমরাও সবাই আশা করেছিলাম । আমিও বলেছিলাম আমাদের ২০-২১ টা হবে। তবে আমরা প্রচুর ভোট পেয়েছি ।’ তিনি আরও বলেন,’আমার জেলায় তৃণমূল সাফ হয়ে গেছে । ১৬ টার মধ্যে পনেরোটা বিধানসভায় আমরা জিতেছি।’
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ভোট পরবর্তী হিংসা তৃণমূলের একটা রোগ । কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল বলেই মানুষ ভোট দিতে পেরেছে । কিন্তু কেন্দ্র বাহিনীকে গুন্ডাদের দমন করতে সুযোগ দেয়নি । কারণ পুলিশ যারা পরিচালিত হয়েছে ।’
রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’আপনারা অবাক হয়ে যাবেন, পুলিশ এক মাসের ৫৭ টা মামলা করেছে । পোলিং এজেন্টদের ঘরছাড়া করেছে । ১৬ জন আইপিএসকে পাঠিয়েছিল মমতা ব্যানার্জি । তারপরে ৮ হাজার ভোটে নন্দীগ্রামে হেরেছে । পুলিশি অত্যাচার না হলে কুড়ি হাজার ভোটে হারতো ।’
রথীবালা আড়ির খুনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’একজন ৫৬ বছরের সিডুল কাস্ট মহিলাকে এইভাবে খুন করা যায় না। আর ২৫ জন যে মূল আসামি তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি । একজনকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে,যার নাম এফআইআরএ নেই । আর একজনকে যার নাম এফআইআর-এ আছে তাকে অ্যারেস্ট করেছে । তাকে ভবানীপুর থানায় এসি চালিয়ে রেখেছে । এগুলো তৃণমূলের সঙ্গে গট আপ করে করেছে পুলিশ ।’
তিনি রাজ্যের মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘সংখ্যালঘু ভাইদের বুঝতে হবে ইমামদের কথায় ভোট দিয়ে দিলেন, কিন্তু আপনারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত । সংখ্যালঘুড়া চাকরি পায়নি । বাইরের রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছে । এই মামলাগুলোতে দেখবেন সব সংখ্যালঘুরা অভিযুক্ত। তৃণমূলের এদের গুন্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে । নন্দীগ্রামের ১১ জন সংখ্যালঘুর দেবব্রত মাইতি খুনের কেসে ঘর ছাড়া । মমতা ব্যানার্জি বা তার ভাইপো তাদের খোঁজ নেয় না।’।