জীবনের প্রথম দিন থেকে
যে সুর বেজে আসছে আজও হৃদয়ে আমার,
কোথাও তো লেখা নেই, কোথায় উৎস তার!
তবুও বেজে চলেছে,
হয়তো বাজবে বলেই বেজে চলেছে
মনের মন্দিরে যেখানে তুমিই আমার দেবতা।
হয়তো আশা ছিল সুর, তাল, লয় থেকে ছন্দ
সব মিলিয়ে হয়ে উঠবো এক মহীরুহ… সঙ্গীত কিম্বা সঙ্গীতা।
পুজোর মন্ত্রের মতো, সেও তো সুরের এক ঝর্ণাধারা
তাঁকে চাই — পেতে চাই, দেখতে চেয়েও পাইনে
আড়ম্বরের ধূপের ধোঁয়ায় আড়ালখানি বুঝি সরাতে পারিনে।
আজ সকালে হঠাৎ শুনি বাবার পুরনো রেডিও উঠলো বেজে।
আকাশবাণীর সেই সুরের ঝর্ণাধারা শুনতে পেলাম
নেয়ে উঠলো শরীর ও মন সেই ধারায়। অজানা আবেশে সেজে।
রোজ সকালে সূর্যের কিরণ মেখে প্রাত্যহিক প্রত্যয় জন্মায়।
ভাবিনি কোনোদিন, তবুও রোজ বসে থাকি অপেক্ষায়।
বিশ্বাস করো হাজার আলোর রোশনাইয়ের আশায়।
সঠিক সুর তাল ছন্দে মুক্ত আকাশে যখন কবিতার প্রতিধ্বনি শুনি
রবি মাস রবির আলোয় নিজেকে জীবিত বলেই মানি।
এরপরেই আবার কাজী মাস — একই অনুরণন, একই প্রতিধ্বনি।।