যে মেয়েটা এত সাজতে ভালোবাসতো, কথা বলতে ভালোবাসতো সেই মেয়েটা সময়কে সাথে নিয়ে সমাজকে ঘিরে আজ একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ভাবতে লাগলো মানুষ কি আর আগের মতো আছে !!
পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলা মেয়েটা ভাবলো কাল যারা আপন ছিল আজ ও কি তারা আপন ? নাকি তাদের পরিবর্তন হয়েছে । এখন তো গুছিয়ে কথা বলার সমস্যাও এসেছে। ভাবনাগুলো এলোমেলো, এমনকি শাড়ির কুচিটাও ঠিক মতো গুজতে পারে না। তবে কি মেয়েটার সকাল থেকে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে নামছে!!
সময়ের সাথে সাথে নিজের ঠোঁটের লিপস্টিকের লাল রঙটাও ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। লাল রঙটা হাল্কা কাচা পাকা চুলে বড্ড বেমানান। মনে হয় কেউ কি আমায় দেখে গোপনে ব্যঙ্গ করছে?
স্লিপেজ ব্লাউজটায় হাতের চামড়া ঝুলে পড়াটা ধরা দেয়। গ্লাস হাতায় লজ্জা শরম ঢাকা থাকে। বয়েসের সাথে সাথে ওসব কি মানায়!!
শখের কালো শাড়িটা মেয়েটাকে নাকি আর মানায় না। ভাবিয়ে তুলছে কিভাবে সাজবে? কেউ কি আড়চোখে দেখছে!
চোখের কাজল বিদায় নিয়েছে কোচকানো পাতা থেকে।
মেয়েটার ধারনা রঙীন আয়নায় নিজেকে ধরা দিলে মনের দরজা আর বিষাদ ছুঁতে পারবে না।।