দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৫ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের ঠিকাকর্মীদের ক্ষেত্রে বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি । গত বছরের দুর্গোৎসবের আগে থেকেই ৫১ জন কর্মীর বেতন বন্ধ হয়ে গেছে । ফের দুর্গোৎসব আসতে চললো,কিন্তু কবে বেতন হবে তার সদুত্তর মেলেনি । ইতিপূর্বের বকেয়া বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ঠিকাকর্মীরা । আজ শুক্রবার ফের তারা প্রোজেক্ট ইনচার্জের অফিসে ও যমুনাদিঘির অতিথিশালায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন । প্রোজেক্ট ইনচার্জ অঙ্কুর মজুমদার বলেন,’আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি । এই সমস্যা অনেক দিন ধরেই চলছে । বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি ।’ যদিও তিনি জানান, এই প্রোজেক্টে যে সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন এমনিতেই তার থেকে অনেক বেশি কর্মী রয়েছেন ।
জানা গেছে,আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারে ১৯ জন স্থায়ী কর্মী ও ৭ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন । বাকি ৫১ জন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন । ওই ৫১ জনের মধ্যে কেউ ৮ বছর,কেউ তার থেকে বেশি বছর কাজ করছেন । সাতবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল । অনেকেরই সরকারি চাকরির বয়স পেড়িয়ে গেছে ।
আন্দোলনকারীরা জানান,তারা খামারে আসছেন, কাজ করছেন,কিন্তু দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে বেতনে দেওয়া হচ্ছে না । সংসার চালাতে গিয়ে বাজারে তাদের অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে । বেতনের দাবিতে দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে বারবার আবেদন নিবেদন করছেন । কিন্তু এযাবৎ কোনো সদুত্তর পাননি । ফলে ওই ৫১ জনের পরিবার কার্যত অতান্তরে পড়ে গেছে । উল্লেখ্য,এর মাস খানেক আগেও অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আউশগ্রামের যমুনাদিঘি মৎস্যবীজ খামারের ঠিকাকর্মীরা । কিন্তু কোনো হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের । এদিন ফের বিক্ষোভে সামিল হল বেতনহীন ৫১ জন কর্মী ।।