দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৬ জুন : সন্দেহের বশে স্ত্রীর মাথায় লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে খুনের চেষ্টা করেছিল স্বামী । স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে । মরে গেছে মনে করে স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । তারপর মাঠের মাঝে সাবমার্সিবল পাম্পের জন্য লাগানো ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুতের তারে হাত দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী । রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ছাতনি গ্রামে । রিঙ্কু খাঁ নামে ওই গৃহবধু এবং তাঁর স্বামী পেশায় রঙমিস্ত্রি জয়দেব খাঁ দু’জনেই বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন । রিঙ্কুদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,এদিন সকালে জয়দেব ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয় । পারিবারিক ঝামেলা বলে প্রতিবেশীরা নাক গলায়নি । হঠাৎ দম্পতির দুই নাবালক সন্তান চিৎকার করে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরের মেঝের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রিঙ্কুদেবী । তাঁর মাথা থেকে রক্তের স্রোত বেরিয়ে আসছে । পাশেই পৃথক সংসারে থাকেন জয়দেবের বাবা বাবলু খাঁ। তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় পুত্রবধুকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ভাতার গ্রামীন হাসপাতালে আনে । কিন্তু তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তৎক্ষনাৎ বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।
জানা গেছে,এদিকে স্ত্রীকে নিস্তেজ অবস্থায় দেখে মরে গেছে মনে করে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান জয়দেব । পরে তাঁকে মাঠের মাঝে একটি ট্রান্সফর্মারের নিচে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরাতাঁকে উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে আনে । কিন্তু তাঁকেও বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয় । বর্ধমান যাওয়ার আগে জয়দেব খাঁ বলেন, ‘আমার স্ত্রী প্রায়ই কার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো । জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিত না । নম্বর মুছে দিত । তাই রাগের বশে আমি এই কাজ করে ফেলেছি ।’ যদিও এদিন বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।।