এইদিন ওয়েবডেস্ক,২২ জুলাই : ইয়েমেনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হুথির একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা ইসরায়েল হাইওমকে রবিবারের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলেছেন যে ইয়েমেনি গোষ্ঠীর ইসরায়েলে তেল আবিবে ড্রোনের সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং কয়েকজনকে আহত করেছিল, যেটা একটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল । প্রাক্তন এই কর্মকর্তা ইসরায়েলি সূত্রকে বলেছিলেন যে ফিলিস্তিনিদের আর্থিকভাবে সমর্থন করা সম্ভব হতো, মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে বা অন্যান্য আরব দেশের মতো মানবিক সহায়তা দিয়ে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে হুথিদের জড়িয়ে পড়া একটি এমন পদক্ষেপ যা দেশের সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলব, যারা ইতিমধ্যেই মানবিক সঙ্কটে ভুগছে ।
ওই কর্মকর্তা ইসরায়েল হায়োমকে আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে হুথিরা রকেট নিক্ষেপ করে এবং একজন ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার সময় কয়েক মিলিয়ন ইয়েমেনিকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে । তারা বন্দরগুলিকে দেউলিয়া করে দেবে। ইসরাইল এমন একটা দেশ যারা ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, যারা শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করবে । ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। সংঘাতটি ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। ইসরায়েলের সাথে আমাদের সরাসরি বিরোধ নেই।
প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও স্বীকার করেছেন যে ইরানপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এমনকি তাদের দেশকে রক্ষা করার মতো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নেই । তারা এই রকেটগুলি নিক্ষেপ করছে যখন তারা একটি ইসরায়েলি বিমানকেও গুলি করতে অক্ষম । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,’ইয়েমেনের উপর নৌ ও বিমান অবরোধ করতে পারে ইসরায়েল এবং এর জন্য বেসামরিক জনগণকে এর মূল্য দিতে হবে।
হুথিদের উপর হোদেইদায় ইসরায়েলের হামলা যা ইসরায়েল হায়োম রিপোর্ট প্রকাশের আগের দিন ঘটেছিল, তেল আবিবে হুথিদের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এসেছিল। এফ-১৫, এফ-৩৫ এবং অন্যান্য ফাইটার জেট মিলে প্রায় দশটি যুদ্ধ বিমানের সাহায্যে আইডিএফ প্রায় ২ ঘন্টা ৫০ মিনিট ধরে অপারেশন চালিয়েছিল ।।