এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,৩১ আগস্ট : জলপাইগুড়িতে ১১ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর আসামির সাজা ঘোষণা হল । অভিযুক্তকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল জলপাইগুড়ি পকসো আদালত । সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম তারিফুল ইসলাম । তার বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় । শুক্রবার জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের স্পেশ্যাল কোর্টের বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠি অভিযুক্তকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন । জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । পাশাপাশি নির্যাতিতাকে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জেলা লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনাটি ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বরের । আদালত সূত্রে খবর,নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ির পাশেই রয়েছে চা বাগান । ঘটনার দিন নিজের ভাই ও আরও কয়েকজন সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে ওই চাবাগানে লুকিয়ে চা পাতা ও ফুল ছিঁড়ছিল মেয়েটি । সেই সময় তারিফুল ইসলাম সেখানে যায় । বাগানের মালিক এসেছে বলে তারিফুল তাদের ভয় দেখায় । একথা শুনে শিশুরা ভয়ে ছুটে পালিয়ে যায় । কিন্তু নির্যাতিতা মেয়েটি পিছিয়ে পড়ে । সেই সুযোগে তারিফুল তার চেপে চা বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । দিদিকে খুঁজতে গিয়ে সেই দৃশ্য নাবালিকার ভাই দেখে ফেলে । সে ছুটে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায় । এরপর মেয়েটির পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে গেলে চম্পট দেয় তারিফুল ইসলাম । পরে মেয়েটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি থানায় একটা এফআইআর রজু করা হয় । তখন থেকেই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল । অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর আসামির সাজা ঘোষণা হল ।
শুক্রবার আসামি তারিফুল ইসলামকে দোষী সব্যস্ত করে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত । এই মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষী ছিল বলে জানিয়েছেন সহকারী সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ দত্ত ।।