প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৮ জুলাই : বেআইনি ভাবে বহু লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন পাঁচ ব্যক্তি। ধৃতদের নাম সুকুমার বিশ্বাস, মিলন বিশ্বাস, শেখ আব্বাসউদ্দিন ওরফে সাগর, নূর মহম্মদ শাহ ও শেখ সফিক ওরফে শম্ভু। ধৃতদের মধ্যে সুকুমার ও মিলনের বাড়ি ভাতার থানা এলাকায় । বাকি ধৃতদের বাড়ি জেলার গলসি থানার পারাজ, তেঁতুলমুড়ি ও মসজিদপুরে ।গলসি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে সুকুমার ও মিলনকে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০০টি গাছের ’লগ’ উদ্ধার হয়। এরপর তাদের নিয়ে পুলিশ আব্বাসউদ্দিনের কাঠের গোলায় হানা দেয় । সেখান থেকেও ২১০টি ’লগ’ উদ্ধার হয় বলে পুলিশের দাবি । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতদের পেশ করে বর্ধমান আদালতে । আরও গাছ উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সুকুমার, আব্বাসউদ্দিন, নূর মহম্মদ ও সফিককে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় । সিজেএম ওই ৪ জনকে ৩ দিনের পুলিশি হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, গলসির মসজিদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ফকিরচন্দ্র রায় রোড। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সড়কপথের দু’পাশে সোনাঝুরি, শিরিষ, বাবলা প্রভৃতি গাছ লাগিয়েছিল পঞ্চায়েত ।সেখানকার পুরানো ও মূল্যবান প্রায় ২ হাজার গাছ গত ৫ জুলাই থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে কেটে নিয়ে কয়েকজন পাচার করে দেয়।এলাকাবাসী প্রথমে মনে করেন পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। পরে তাঁরা পঞ্চায়েতে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন গাছ কাটার ব্যাপারে পঞ্চায়েত কাউকে কোনও অনুমতি দেয়নি । গাছ কাটা নিয়ে কোনও টেণ্ডারও পঞ্চায়েত ডাকে নি।এমনকি গাছ কাটার জন্য বনদপ্তরের অনুমতিও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিওকে অভিযোগ জানান ।বিডিও তদন্ত করে অভিযোগের সারবত্তা পেয়ে ২৫ জুলাই গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে গলসি থানার পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ।।