এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,০৫ ডিসেম্বর ঃ মৃত মহিলার দেহ থেকে অঙ্গ বের করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম মৌমিতা চক্রবর্তী(৩১) । তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার হিন্দমোটর কোতরং ধর্মতলা এলাকার । শুক্রবার হাসপাতালের তরফ থেকে মহিলার দেহটি প্যাক করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
জানা গেছে, দেহটি বাড়িতে আনার পর প্লাস্টিকের প্যাকিং খুললে মৃতদেহের পেটের দু’পাশে কাটা দাগ নজরে পড়ে পরিবারের লোকজনের । ওই কাটা দাগ দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয় মৃতদেহ থেকে দুটি কিডনি বের করে নেওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ।
হিন্দমোটর কোতরং ধর্মতলা এলাকাতেই বিয়ে হয়েছিল মৌমিতা চক্রবর্তীর । তাঁর দুই নাবালক সন্তান রয়েছে । মৃতের ভাই সানু কুন্ডু জানিয়েছেন, তাঁর দিদি এক দেড় মাস ধরে শারিরীক অসুস্থায় ভুগছিলেন । সেই কারনে দিদিকে প্রথমে কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা চলে । পরে চিকিৎসার সুবিধার্থে দিদিকে কলকাতার একটা বেসরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয় ।
তিনি বলেন, ‘ভর্তি করার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় যে করোনার কারনে হাসপাতালে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না । তবে দিনের একটা সময় দুর থেকে পেশেন্টকে দেখানোর ব্যাবস্থা করে দিতে পারি । দিদিকে যেদিন ভর্তি করা হয় ওইদিন বিকেলে দুর থেকে দিদিকে একবার দেখতে দিয়েছে৷ কিন্তু পরের দিন পেশেন্টকে দেখতে চাইলে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় দিনে দু’বার করে ভিডিও কল করে পেশেন্টকে দেখানো হবে । তারপর ভিডিও কলেই দিদির সঙ্গে কথা হত । কিন্তু চিকিৎসকরা কখনও বলতো দিদি ভালো আছে আবার কখনও বলতো অবস্থা ভালো নয় । এরপর শুক্রবার সকালে হাসপাতাল থেকে বলা হয় দিদি মারা গেছেন । পরে বিকেল নাগাদ দিদির দেহ প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে আমাদের হস্তান্তর করা হয় ।’
মৃতার বাবা ধ্রুব কুন্ডুর কথায়, ‘মেয়ের দেহ হস্তান্তরের পর হাসপাতালে দেহের প্যাকিং খুলতে আমাদের নিষেধ করা হয় । ফলে বাধ্য হয়ে দেহ বাড়ি নিয়ে আসি । এরপর বাড়িতে এসে প্লাস্টিক ব্যাগ খুলে দেখা যায় মেয়ের পেটের দু’দিকে এল আকৃতির কাটা দাগ । অথচ আমার মেয়ের পেটে কোনও অস্ত্রোপচারই হয়নি । তাহলে ওই কাটা দাগ কোথা থেকে এল? আমাদের সন্দেহ মেয়ের দেহ থেকে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়া হয়েছে ।’
মৃতার ভাই সানু কুন্ডু বলেন, ‘এনিয়ে অভিযোগ জানাতে আমরা স্থানীয় থানায় যাই । তখন থানা থেকে আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয় মৃতদেহ মর্গে রেখে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানাতে ।’ মৃতার পরিবার জানিয়েছে, এই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য যেখানে যেতে হয় তাঁরা যাবেন