জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর,২৯ অক্টোবর : দীর্ঘ সময় ধরে সম রীতিনীতি মেনে কালি পূজার ঘোর অমাবস্যার রাতে পূজিতা হয়ে আসছেন মা ভৈরবী । দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বাংলাদেশ অধ্যুষিত হিলির ভৈরবী মাতার পূজাটি সম্পুর্ণ তান্ত্রিক মতে হয়ে আসছে। এই পূজাতে আট ভাজা ও পাঠাবলির রেওয়াজ আজও বর্তমান। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলির ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভৈরব তলার এই পূজাকে ঘিরে চরম উদ্দীপনা এলাকা জুড়ে।
আনুমানিক প্রায় দুই শতাধিক বছর প্রাচীন হিলির ভৈরবী । কালি পূজার রাতে তান্ত্রিক মতে হওয়া ভৈরবী পূজায় আবশ্যিক মাছ, পাঠার মাংস, চানাচুর সহ আট ভাজা। এখানেই পাঠা বলির প্রচলন আছে আজও। বলির মাংস দিয়েই মাকে নিবেদন করা হয় পূজাতে। শিবের ভৈরব নামানুসারেই স্থানটির নাম ভৈরব তলা। পূজার পরদিন সকালে এখানে শিবের উপাসনা করা হয়। অতীতে হিন্দু মুসলমান মিলে যুমুনা নদীর পাড়ে এই পূজা করত । কিন্তু দেশ ভাগের পরে মন্দিরটি ভারত এর মধ্যে পড়েছে ।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা এই পুজাটি করে আসছেন স্থানীয় উদ্যোগতারা। এক সময় এই পুজো করতেন এলাকার এক বিশিষ্ট তান্ত্রিক দূর্গা চট্টোপাধ্যায় । পরবর্তীতে তার ছেলে দুলু চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পুজা চালিয়েছেন । দুলুবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্যরা পুজো করছেন । এলাকার মানুষের বিশ্বাস, বহু অলৌকিক মাহাত্ম্য রয়েছে এই ভৈরবী মাতার । আজও পুজোর রীতিনীতির কোনও পরিবর্তন করা হয়নি । এখনও একই নিষ্ঠার সাথে পূজিত হন দেবী। সামিল হন ভারত বাংলাদেশের প্রচুর দর্শনার্থীরা। আর কালি পূজার রাতে এই ভৈরববী পূজাকে ঘীরেই মেতে উঠবেন আবালবৃদ্ধবনিতা ।।