এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৩ ডিসেম্বর : বিহার বিধানসভার ভোটে সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ব্যর্থ করে ভূমিধস জয় পেয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট । অন্যদিকে শোচনীয় পরাজয়ের পর শনির দশা লেগেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটে । বিশেষ করে জাতীয় দলের তকমা খোয়াতে বসা কংগ্রেস ও লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির কোনো কিছুই ভালো যাচ্ছে না । এদিকে লালুর পরিবারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে, তখন কংগ্রেসের পাশে কোনো দলই আর থাকতে চাইছে না । ফলশ্রুতিতে ইন্ডি জোটে ভাঙন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেন জোট বদল করতে চলেছেন । সম্প্রতি স্ত্রী কল্পনাকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা করে একপ্রস্ত আলোচনাও সেরে ফেলেছেন তিনি । তার এনডিএ- তে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে খবর জাতীয় রাজনৈতিক মহলে ।
বিহারে বিহার বিধানসভার ২৪৩ আসনের ভোটে এনডিএ একাই পেয়েছে ২০২ টি আসন । গোটা রাজ্য জুড়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ইন্ডি জোট । ফলাফল প্রকাশ হতেই আরজেডি প্রধান লালু যাদবেরপুত্র তেজস্বীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ঘর ছেড়েছেন লালুর মেয়েরা । অন্যদিকে কংগ্রেস এবং আরজেডির বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম । প্রথমে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী দেয়নি জেএমএম । তারপর থেকেই জেএমএম-এর নেতারা কংগ্রেস এবং আরজেডির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন ।
এমতবস্থায় সন্ত্রীক দিল্লিতে বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে হেমন্ত সোরেনের সাক্ষাৎ ইন্ডি জোট ভাঙার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে৷ সূত্রের খবর, জেএমএম-বিজেপির আসন সংখ্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে । পাশাপাশি এর মাঝেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়ার। ফলে তলায় তলায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোট বদলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ৮১টি আসনের ভোট হয় । সরকার গড়তে ৪১ আসনের প্রয়োজন। যেখানে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পেয়েছিল ৩৪ টি আসন । ১৬ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস । ইন্ডি জোট ৫৬ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে৷ অন্যদিকে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ২১ টি আসনে ৷ এনডিএ জোট মাত্র ২৪ আসনে জিততে সক্ষম হয়। এখন যদি হেমন্ত সোরেন যদি জোট ত্যাগ করেন তাহলে ৬০ আসন নিয়ে তিনি ফের সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন । এমনকি জল্পনা চলছে যে ঝাড়খণ্ডের ১৬ জন কংগ্রেস বিধায়কও সামিল হতে পারে এনডিএ-তে । যদি এই জল্পনা সত্যি হয় তাহলে ঝাড়খণ্ড থেকে এক অর্থে নির্মূল হয়ে যাবে কংগ্রেস ।।

