এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,০৩ ডিসেম্বর : মালদহের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান লাভলি খাতুনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য । মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় । শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তার পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায় । এবারে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান ও তার স্বামীর বিরুদ্ধেও উঠল বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ । হাটকালনা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের বিরুদ্ধে এনিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব ।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী স্মৃতিকণা বসুর অভিযোগ,শ্রাবন্তী মণ্ডল ও তার তৃণমূল নেতা স্বামী বনমালী মন্ডল সম্ভবত ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে স্থানীয় ব্যক্তিদের বাবা ও মা দেখিয়ে জাতিগত শংসাপত্র তৈরি করেন ও ভোটার কার্ডে নাম তুলেছেন। তিনি সোহাগী মন্ডল, সুমন মন্ডল, জয় মন্ডল ও শ্যামল মন্ডল নামের এই চারজনের জন্য এনুমারেশন ফর্ম তোলেন। যারা সকলেই বাংলাদেশী।’ আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা ধনঞ্জয় হালদার। তার অভিযোগ,’ভুয়ো তথ্য দিয়ে তিনি প্রধান হয়েছেন। এখনও এনুমারেশন ফর্মও তিনি জমা করতে পারেননি। কারন তাদের আসল নথিপত্রই নেই ।’
যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডল ও তার স্বামী বনমালী মন্ডল,দু’জনেই বলেছেন,’ওনারা আগে প্রমাণ করুক আমার নথিপত্রগুলো ভুয়ো। তারপর সব প্রমাণ দেব ।’ গননা ফর্ম জমা না দেওয়ার কারন হিসাবে তারা দাবি করেন,পারিবারিক বিভিন্ন কারণে এনুমারেশন ফর্ম এখনও জমা করতে পারেননি তারা । আর যে দুজন আত্মীয় ও দুজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি হওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি তাদের ।
যদিও কালনার মুক্তারপুর এলাকায় শ্রাবন্তী মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তার মা বিষ্ণুপ্রিয়া ব্যাপারী ও বাবা সচিন ব্যাপারীর দেখা মেলেনি । তবে বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক ।।

