এইদিন ওয়েবডেস্ক,ছত্তিশগড়,২৭ অক্টোবর : ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে নকশাল মুক্ত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা বাস্তব প্রমানিত হতে দেখা যাচ্ছে ৷ এই লক্ষ্যে বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড় সরকার নতুন নকশাল-বিরোধী নীতি প্রনয়ন করেছে । যা কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নকশালবাদ নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী যে অভিযান শুরু করেছে, তাতে নকশালদের অস্ত্র জমা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এই কারণেই রূপেশের মতো কুখ্যাত মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করছেন।
ছত্তিশগড় সরকার দাবি করেছে যে পুনর্বাসন উদ্যোগের আওতায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) মোট ২১ জন মাওবাদী ১৮টি অস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করে মূলধারায় ফিরে আসেন। মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করে তাদের অস্ত্রসস্ত্র জমা দিয়ে দেয় । বস্তার রেঞ্জের কাঁকর জেলায় এটি সফলভাবে অর্জন করা হয়েছে। ওই মাওবাদীরা সকলেই কেশকাল বিভাগের (উত্তর উপ-জোনাল ব্যুরো) কুয়েমারি/কিসকোডো এরিয়া কমিটির সদস্য। এর মধ্যে বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক মুকেশও রয়েছেন।
এই ২১ জন কর্মীর মধ্যে রয়েছেন চারজন ডিভিসিএম (বিভাগীয় সহ-সভাপতি কমিটির সদস্য), নয়জন এসিএম (এরিয়া কমিটির সদস্য) এবং আটজন দলীয় সদস্য যারা সহিংসতার পথ ত্যাগ করে মূলধারার সমাজে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আত্মসমর্পণকারী কর্মীদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা কর্মী এবং আটজন পুরুষ কর্মী রয়েছেন। তারা সশস্ত্র ও সহিংস আদর্শ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে শান্তি ও অগ্রগতির পথ গ্রহণ করেছেন।

এই মাওবাদীরা ৩টি AK-47 রাইফেল, ৪টি SLR রাইফেল, ২টি INSAS রাইফেল, ৬টি 303 রাইফেল, ২টি সিঙ্গেল-শট রাইফেল এবং ১টি BGL অস্ত্র সহ বেশ কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেছে। এই ২১ জন মাওবাদীর পুনর্বাসন এবং সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।।

