এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম,২৯ আগস্ট : ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া পূূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী বলরাম মাজির (২২) বাড়িতে গেল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল । রবিবার সন্ধ্যায় ৪ সদস্যের ওই তদন্তকারী দলটি নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন । নিহতের মা টুম্পা মাজি স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে । জানা গেছে, টুম্পাদেবী অভিযোগ তোলেন কেতুগ্রাম থানার পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে । এখনও চার্জশিট দেয়নি । তিনি ছেলের হত্যার সুবিচার চেয়ে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে আর্জি জানান । সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে আশ্বস্ত করেন বলে খবর ।
বিধানসভা ভোটের ফলঘোষণা হয় গত ২ মে । তার ঠিক দিন দুয়েক বাদ ৪ মে খুন হন কেতুগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা বলরাম মাজি নামে ওই বিজেপি কর্মী । অভিযোগ,ওইদিন সন্ধ্যায় বলরামের বাড়িতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেসের বেশকিছু কর্মীসমর্থক । তারা বলরামকে বাড়ি থেকে তুলে কিছু পাশের শ্রীপুর দিঘির পাড়ে নিয়ে যায় । সেখানে তাঁকে নির্মমভাবে পেটায় ও কোপায় তৃণমূলের লোকজন । এমনকি ঘটনার পর বলরামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে যখন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ । তার অনেক পরে পুলিশের সাহায্য নিয়ে বলরামকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু পরের দিন বর্ধমান হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই বিজেপি কর্মীর ।
এই ঘটনায় নিহতের মা টুম্পা মাজি এনিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কেতুগ্ৰাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাহিদুল আলম মোল্লা ছাড়াও সাহানুর আলম মোল্লা, মেহেরজান শেখ, সাজাহান শেখ ও কামালুদ্দিন শেখ নামে আরও ৪ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন । পুলিশ সাহিদুল আলম মোল্লাকে গ্রেফতার করে । যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত বলে জানা গেছে । এদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলটি শ্রীপুর গ্রামে বলরাম মাঝির বাড়িতে আসতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন নিহতের মা টুম্পাদেবী ও বাবা মৃত্যুঞ্জয় মাজি ।।