এইদিন ওয়েবডেস্ক,হুগলি,২৮ আগস্ট : ব্যাঙ্কে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই । অথচ লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের ম্যাসেজ ঢুকছে মোবাইলে । কোনওদিন মোবাইলে আসছে এক লক্ষ টাকা ঢোকার ম্যাসেজ । আবার দুদিন পরেই ঢুকছে সেই টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ । এই উদ্ভট ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার ভান্ডারহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চীনাগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় । আদিবাসী পাড়ার ১০-১২ জনের মোবাইলে টাকা লেনদেনের মেসেজ ঢুকছে বলে খবর । ফলে তাঁরা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ।
জানা গেছে ধনিয়াখালি থানার মদন মোহন তলায় রয়েছে একটি ব্যাঙ্কের শাখা । ওই ব্যাঙ্ক থেকেই পাঠানো হচ্ছে আর্থিক লেনদেনের মেসেজ । স্থানীয়দের দাবি, তাঁরা কোনও দিন ব্যাঙ্কের ত্রিসীমানা দিয়ে যাননি । এমনকি ওই ব্যাঙ্কের শাখাটি এলাকার কোথায় আছে সেটা পর্যন্ত তাঁরা জানেন না । অথচ আচমকা বাড়িতে চেক বই আসছে । হাজার হাজার টাকা ঢোকার মেসেজ আসছে মোবাইলে । দু’দিন পর তা আবার তুলেও নেওয়া হচ্ছে ।
জানা গেছে,মাস খানেক ধরে বেশ কয়েক জনের বাড়িতে হঠাৎ চেক বই চলে যায় । তার দু দিন পর থেকে মোবাইলে টাকা লেনদেনের ম্যাসেজ আসতে থাকে । টাকার পরিমাণ দেখে কার্যত চক্ষু চরক গাছ অবস্থা তাঁদের । যাদের মেসেজ আসছে তাঁদের প্রত্যেকেই খেটে খাওয়া মানুষ । কারা কেন এসব করছে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না চীনাগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার লোকজন । তাঁদের আশঙ্কা, ঋণ না করেও কোনও ব্যাঙ্ক ঋণে না জড়িয়ে পড়েন । এই উদ্ভট মেসেজের বিষয়ে জানতে মদন মোহন তলার ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এই প্রসঙ্গে গ্রামীন ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার সহদেব বাবু জানান, সাধারণ মানুষের নথি জোগাড় করে ব্যংকের কিছু কর্মী যুক্ত হয়ে এই ধরণের জালিয়াতি করে । ব্যংকের কোনো কর্মী যুক্ত না থাকলে এই ধরণের লেনদেন কখনই সম্ভব নয় বলে জানান তিনি । পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘সাধারণ মানুষের অজান্তে তাদের নথি ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বড়সড় আর্থিক প্রতারণা চলছে ।’।