এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝাড়গ্রাম(পশ্চিম মেদিনীপুর), ১২ মার্চ : পুলিশকর্মীকে ‘সিভিক’ বলার অপরাধে একজন লরি চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল। মারধরের ভিডিও শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি এই ঘটনাকে ‘মমতা পুলিশ ও সিভিকের রোজ নামচা’ বলে বর্ণনা করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামের ৷ ঘটনার বিবরণে তিনি লিখেছেন, ‘আজকের ঘটনা ঝাড়গ্রাম। এক লরির ড্রাইভার এক জন পুলিশকর্মী কে সিভিক বলে দিয়েছে। এক পুলিশ অফিসার সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, এই ‘গহীন’ অপরাধের জন্য ওনার সামনেই ড্রাইভার ভাইয়ের কপালে জুটেছে মার, এমনকি জঙ্গলে দৌড় করিয়ে মারধর করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেওয়া হয়।’
শুভেন্দু অধিকারী ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন৷ ভিডিওতে একজনকে সমগ্র ঘটনাটি নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করতে দেখা যাচ্ছে । প্রথমে তিনি গাড়িতে বসে বলেন,আমি প্রথমে কুড়ি টাকা দিতে চেয়েছিলাম ।’ এরপর গাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে জনৈন্ত এক পুলিশ আধিকারিকের কাছে নালিশ করেন৷ একজন ইউনিফর্ম পরা পুলিশ কর্মীকে আঙুল তুলে রেখে বলেন, ‘আমি সিভিক বলেছি খালি ।’ এ কথা শুনে পুলিশ আধিকারিকের সামনেই ওই পুলিশ কর্মী গাড়ি চালকের দিকে তেড়ে আসে । এরপর ওই গাড়ি চালক রেকর্ড করতে করতেই ছুটে পালাতে থাকেন এবং বলেন, আমি সিভিক বলেছি খালি । মারা পেটা করছে কেন ?’ একই কথা বলতে বলতে ওই গাড়ি চালক জঙ্গলের দিকে ছুটে পালাতে দেখা যায় তাকে ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গে প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষণ, বোমাবাজি, নারী নির্যাতন, ডাকাতি, শুট-আউট, সুপারি কিলিং ইত্যাদি ঘটেই চলেছে। সেই বিষয়ে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। কিন্তু জনসাধারণ, আর্থিক ভাবে দুর্বল অথবা এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি যা ক্ষমতার অলিন্দের বাইরে, তাঁদের ওপর পুলিশের অত্যাচার বেড়েই চলেছে দিনদিন।’
তিনি বলেন,’দিন কয়েক আগেই, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ৩ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়। দাবি মতো টাকা না দেওয়ায়, এক গাড়িচালককে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে, বেধড়ক মারধর করে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। গাড়ির খালাসি প্রতিবাদ করতে গেলে, তাঁর দিকেও মারমুখি হয়ে তেড়ে আসে এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ভাইরাল ভিডিও তে সিভিক ভলান্টিয়ারদের আগ্রাসন জনমানসে প্রভাব ফেলে ও যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রশাসন যে বিন্দুমাত্র বিচলিত নয় তা আজকের ঘটনা তে আবার প্রমাণিত।’
সবশেষে তিনি রাজ্যবাসীর কাজে আহ্বান জানান, ‘আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বলবো বর্তমান প্রশাসনের কাছে এগুলো কোনো দোষের নয় অথবা কর্তব্যে গাফিলতি হিসেবেও গণ্য হবে না। যেখানে আইনের শাসন নেই, সেখানে বিচার হবে কি করে? যা অবশিষ্ট আছে তা রয়েছে আপনাদের হাতে। আগামীদিনে এই তোষণবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অত্যাচারি সরকার ও দলদাস প্রশাসন কে সমূলে উৎখাত করতে হবে ।’।