এইদিন ওয়েবডেস্ক,নরসিংদী,০৯ মার্চ : বাংলাদেশের নরসিংদীতে ৬ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মহম্মদ সাইফুল ইসলাম (৫০) নামের একটি মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরীকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার পুলিশের হাতে তুলে দেয় । এই ঘটনায় মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রবিবার তাকে আদালতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে শহরের গাবতলী এলাকার একটি মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর এলাকার দুলাল মিঁয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ওই শিশু কন্যাকে শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের চেষ্টা করে নিরাপত্তা প্রহরী মহম্মদ সাইফুল ইসলাম। শিশুটি ঘটনার কথা মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলামকে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরীকে ধরে গণধোলাই দেয় । খবর পেয়ে পুলিশ উত্তেজিত জনতার হাত থেকে নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা । পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহত অবস্থায় নিরাপত্তা প্রহরীকে উদ্ধার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । এই ঘটনায় গতকাল রাতেই নির্যাতিতার পরিবার ধর্ষক নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাহফুজুর রহমান ভূইয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলামকে এলাকার উত্তেজিত জনতা মারধর করেন। পরে মাদ্রাসাটির মসজিদে আশ্রয় নেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।’
মাদ্রাসার শিক্ষক সামসুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি আমাদের কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করি। এরই মধ্যে স্থানীয়রা ঘটনা জানতে পেরে উত্তেজিত হয়ে ওই প্রহরীকে গণপিটুনি দিতে শুরু করে। পরে পুলিশ ও যৌথবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’ নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ হতে রাতেই মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’।