এইদিন ওয়েবডেস্ক,ছত্তিশগড়,০৪ মার্চ : ছত্তিশগড়ের রায়পুরের এক হিন্দু তরুনীর ঘৃণ্য চেহেরা প্রকাশ্যে এসেছে । নিজের ইচ্ছায় মুসলিম প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে এখন তার বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ তুললো ওই তরুনী । তরুনীর পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । এখন ওই তরুনীকেই দুষছেন নেটিজেনরা । তাকে গ্রহণ না করার জন্য পরিবারের কাছে আবেদনও জানানো হচ্ছে।
প্রথম ভিডিওতে মেহেন্দি লাগানো হাতে চুড়ি,গলায় মঙ্গলসূত্র পরে ওই তরুনীকে বলতে শোনা যায়,আমি খুশি ছেদবানি, আজ ২৬ তারিক,বুধবার, আমার মায়ের নাম অলক ছেদবানি,বাবার নাম ভিকি ছেদবানি । আমার পুরো আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ যে আমাকে ভুল বুঝবেন না । আমি নিজের ইচ্ছায়, কোন ভয়-ভীতি ছাড়াই হাসানকে বিয়ে করেছি । হাসানের পরিবার এবং হাসানকে যেন বিরক্ত না করা হয় । ছত্রিশগড় পুলিশের কাছে আমার নিবেদন যে, রাজেনগর ডিআইজির কাছে আমি নিজে কয়েক দিনের মধ্যেই সাক্ষাৎ করব । আমি জয়পুরে বিয়ে করেছি এবং হাসানকে বিয়ে করার পর আমি দারুণ খুশি । আমাকে কারোর তরফে কোন প্রকার চাপ দেওয়া হয়নি । আমি নিজের ইচ্ছায় পালিয়ে এসেছি ।
এরপর ওই তরুণী গলার হারটা দেখে বলে, আমার কাছে কোন সোনা নেই,মাত্র ৬০ টাকা দামের একটা মঙ্গলসূত্র পরেছি । আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি যে ওর পরিবারের লোকজনকে থানায় যেন না ডাকা হয় এবং ভুয়া মামলা যেন না করা হয় ।’ হাত জোড় করে ওই তরুণী বলে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন যে ১৫ দিনের মধ্যে আমি ডিআই স্যারের সাথে দেখা করব । আমি কথা দিচ্ছি । ধন্যবাদ।’
দ্বিতীয় ভিডিওটা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় রেকর্ড করা । যেখানে একই তরুণীকে বলতে শোনা গেছে, ‘নমস্কার, আমি খুশি ছেদবানি । কিছুদিন আগে আমি সৈয়দ হাসান আলীর সঙ্গে ছিলাম । ও আমাকে সাক্ষাৎ করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল । আমাকে কিছু খাইয়ে এবং শুকিয়ে দিয়ে নিজের বশে নিয়ে এসেছিল । জোর করে বিয়ে করেছিল । চাপ দিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করেছিল যেটা পরে ভাইরাল করে দেওয়া হয় । জোর করে স্বাক্ষর করিয়েছিল… যে ফটোটি সে ভাইরাল করেছিল । আজ ফ্যামিলি আমার সাথে আছে ।পুলিশকে ধন্যবাদ যারা আমাকে বাঁচিয়েছে ।’
দুটি শেয়ার করেছেন দীপক শর্মা নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী । তিনি এই তরুণীর বাবা-মার কাছে অনুরোধ করেছেন যে এই ধরনের মেয়েকে যেন তারা গ্রহণ না করেন । তিনি লিখেছেন,এই মেয়েটিকে আপনি কী বলবেন…. প্রথমে সে মোল্লার সাথে পালিয়ে গেল তারপর সে তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও তৈরি করে, তারপর যখন মোল্লার বাড়ির সবাই পালাক্রমে হয়তো তার নম্বর লাগিয়েছিল তখন সে ফের ভিডিও করে বলছে যে সে আমাকে কিছু খাইয়ে পাগল করে দিয়েছিল । রাস্তাকে মহাসড়কে রূপান্তরিত করার পর ফিরে আসা এই ধরণের মেয়েদের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই । বাবা-মায়ের এই ধরনের মেয়েদের গ্রহণ করা উচিত নয়। আপনাদের চিন্তাভাবনা অবশ্যই শেয়ার করবেন । ঘটনাটি ছত্তিশগড়ের রায়পুরের…।’
যদিও দীপক শর্মার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি ইন্ডিয়ান থিঙ্কার্স নামে একজন ব্যবহারকারী । তিনি কমেন্টে লিখেছেন,’দীপক ভাই নমস্কার । সত্য কথা হলো, মেয়েরা ফাঁদে পড়ে না, তাদের ফাঁদে ফেলা হয়। তার চারপাশে এতটাই শক্তিশালী জাল তৈরি করা হয় যে যে সে অবশেষে আটকা পড়ে। আপমি ভুলে গেছেন যে সে “শিকার”। বিরোধিতা শিকারীর হওয়া উচিত, শিকারের নয়। লাভ জিহাদ থেকে মেয়েটিকে বাঁচাতে হলে, শিকারের বিরুদ্ধে নয়, শিকারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে। তোমার বাড়িতে, তোমার পাড়ায় লাভ জিহাদ নিয়ে আলোচনা করো, মেয়েদের বলো যে তারা এই পশুদের লক্ষ্যবস্তু। তাহলে রোগ শেষ হয়ে যাবে। মেয়েটির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তুমি কেবল শিকারীর মনোবলই বাড়াচ্ছ!’