এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাওয়ালপিন্ডি,০৪ ফেব্রুয়ারী : পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশের নিষ্ঠুরতা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেট বা আইএসআইএস কেও অতিক্রিম করেছে । এক সপ্তাহ আগে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া ১৩ বছর বয়সী পশতুন কিশোর সুলেমানকে থানায় নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে মেরে ফেলা হয় । পরে কিশোরের মৃতদেহটি থেকে দু’চোখ খুলে নেওয়া হয় । বুক ও পেট চিড়ে খুলে নেওয়া হয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গও । পুলিশ তাকে কেবল নির্মমভাবে হত্যাই করেনি, তার চোখসহ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চড়া দামে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ ।
কাপড়ের ব্যাগে মোড়ানো কিশোরের মৃতদেহের ভিডিও শেয়ার করেছেন পাকিস্তানি বংশভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইমতিয়াজ মেহমুদ । তিনি লিখেছেন,’গ্রাফিক সতর্কতা! রমজানের প্রথম দিনে পাকিস্তানে ১৩ বছর বয়সী এক সম্পূর্ণ সুস্থ ছেলে পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। তার আত্মীয়স্বজনরা দাবি করেছেন যে ছেলেটির চোখ এবং অন্যান্য অঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।’
তবে শুধু ওই এক্স ব্যবহারকারীই নয়,আরও অনেকে একই ভিডিও শেয়ার করেছেন । ভিডিওতে স্থানীয় এসডিপিওকে দেখা গেছে । মৃত কিশোরের পরিবারের লোকজন কাপড়ের ব্যাগ খুলে তাকে দেখান যে ছেলেটির দু’চোখ খুলে নেওয়া রয়েছে এবং বুক থেকে পেটের নিচে পর্যন্ত সেলাই রয়েছে৷ তারা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়ার অভিযোগ করলে এসডিপিও এটিকে ময়নাতদন্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন । তখন পরিবারের লোকজন তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন,’এভাবে ময়নাতদন্ত হয় না ৷’
অন্য একজন এক্স ব্যবহারকারী একই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’রাওয়ালপিন্ডি পুলিশের হেফাজতে ১৩ বছর বয়সী সুলেমান মারা গেছে। তার কিডনি এবং চোখও খুলে ফেলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মতে, পুলিশ তাকে এক সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করেছে। আজ পুলিশ তাদের বলেছে যে তোমাদের সন্তানের মৃতদেহ হাসপাতালে আছে। দেহটি হাসপাতালে এসে নিয়ে যাও । পরিবারের সদস্যদের মতে,’পুলিশ আমাদের শিশুটিকে ব্যাপক মারধর করে হত্যা করেছে। আমাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা উচিত।’ তবে কেন ওই কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তা স্পষ্ট নয় ।।