এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০৬ ফেব্রুয়ারী : শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করার পর দেশের শাসন ক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে পেয়ে গেছে পাকিস্তানপন্থী কট্টর ইসলামী মৌলবাদী দলগুলি । একদিকে তারা যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে আসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যাবতীয় চিহ্নকে ধ্বংস করে দেওয়ার কাজ করছে, পাশাপাশি সেই পাকিস্তানকে রেড কার্পেট স্বাগত জানাচ্ছে যারা এক সময় লক্ষ লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ করেছিল । নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল । যে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, এখন সেই ভারতের সঙ্গেই সম্পর্ক তারা নষ্ট করে দিয়েছে এবং পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করছে । তারা যেমন ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দিচ্ছে অন্যদিকে পাকিস্তান থেকে পন্য আমদানি শুরু করেছে।
এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়েছে বাংলাদেশের বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে । আর এতে বেজায় খুশি বাংলাদেশের জিহাদিরা । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল ওই জাহাজে চাল, ডাল বা তেল আসেনি, বরঞ্চ এসেছে চিটাগুড় । কিন্তু তাতেও বাংলাদেশী জিহাদীদের আনন্দে ভাটা পড়েনি । পানামা পতাকাবাহী পাকিস্তান থেকে আসা এমটি ডলফিন-১৯ জাহাজটি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে পাঁচ হাজার টন চিটাগুড় নিয়ে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যান্ডপার্টি (বাদ্যযন্ত্র) বাজিয়ে ও ফুল দিয়ে জাহাজটিকে স্বাগত জানায়।
জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারী পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে রওনা করে চুটাগুড় ভর্তি জাহাজটি। চিটাগুড়ের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মহম্মদ মাকরুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমোডর শফিকুল ইসলাম, পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিংয়ের সত্ত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক, জাহাজের ক্যাপ্টেন এনগুয়িন ট্রং পুংসহ বন্দরের কর্মকর্তারা স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের হারবার মাস্টার কমোডর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ মোংলা বন্দরের জন্য একটি বিশেষ দিন, আমার জন্যও বিশেষ দিন। পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হল। আগে ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ভারত ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে। যার কারণে আমাদের খরচ বেড়ে গেছে। তাই পাকিস্তান থেকে অনেক কম দামে ও কম খরচে চিটাগুড় আমদানি করা শুরু হল। এই আমদানি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’ এ সময় আমদানিকারকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরে পাকিস্তানের জাহাজ ভেড়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এই কারণেই জাহাজটিকে স্বাগত জানানো হয় বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও ফুল দিয়ে।
জানা গেছে, জাহাজের চিটাগুড় খালাস করে মোংলা ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে পরিশোধন করা হবে। এরপর রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌপথে সরবরাহ করা হবে। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন ফিড কোম্পানিতে যাবে।।