প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ জুলাই : রাজ্যের অন্যান জেলা পাশাপাশি এবার পূর্ব বর্ধমানেও ছড়ালো উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ক্ষোভের আঁচ।’পরীক্ষা না নিয়ে কেন ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? এই দাবী তুলে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী । তারা কালনা-কাটোয়া রোডে ধাত্রীগ্রাম পোস্ট অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় । ছাত্রীদের সঙ্গে পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেয় তাঁদের অবিভাবকরা।প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলে অবরোধ বিক্ষোভ।তার জেরে থমকে যায় কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে যানবাহন চলাচল ।প্রায় ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ বিক্ষোভ ওঠে ।
উচ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী জানতে পারে তারা ফেল করেছে। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার ওই ছাত্রীরা দেখে তাদের বেশির ভাগ জনই বাংলা অথবা ইংরাজিতে ফেল করেছে।পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রী রিতিশা ঘোষ বলে ,’ পরীক্ষা হলে তারা কেউ ফেল করতো না। কারণ তাঁরা পড়শানাটা সিরিয়াসলি করে।ছাত্রীরা দাবী করে পরীক্ষা না নিয়ে তাহলে তাঁদের ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে ।তাই তারা চাইছে অবিলম্বে উচ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক,নয়তো তাঁদের সকলকে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ।’
অবিভাবক ঝুমা দেবনাথ বলেন, ‘এই বছর অতিমারির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ ।অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন মানসিকতা দেখানো হল ।পরীক্ষা না নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা হয়নি । ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রীকে হয় বাংলা নয়তো ইংরাজিতে ফেল দেখানো হয়েছে ।’ যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের সবাইকে পাশ করাতে হবে বলে ঝুমা দেবনাথ সহ অন্য অবিভাবকরা দাবি করেছেন ।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রীদের স্কুলের ভিতর নিয়ে গিয়ে শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনায় বসায়। শিক্ষিকাদের কাছেও একই দাবি জানায় পড়ুয়া ও অবিভাবকরা । শেষে ব্লক প্রশাসন
বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের
আশ্বাস দিলে ছাত্রী ও অবিভাবকরা এদিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় ।।