এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ নভেম্বর : চীনকে পিছনে ফেলে ইতিমধ্যেই বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশের তকমা পেয়ে গেছে ভারত । দাবি উঠছে যে দেশে অবিলম্বে জনসংখ্যা আইন লাগু করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হোক । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটের এক মুসলিম মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মনে করছেন যে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে দুই সন্তান নিয়ে হবে না, বরঞ্চ প্রত্যেক দম্পতিকে চারটে করে সন্তান নিতে হবে । এদিকে সিদ্দিকুল্লাহর এই বার্তায় বিপদ সঙ্কেত দেখছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা ব্যানার্জির সরকারের ওই মন্ত্রী আদপে জনবিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজ্যে জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে চাইছেন । পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল পাস করার জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ।
এক সাংবাদিককের সঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর কথোপকথনের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । সাংবাদিদের একটি প্রশ্নের উত্তরে ভিডিওতে সিদ্দিকুল্লাহকে বলতে শোনা গেছে, ‘গ্রাম বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজে, হিন্দু মুসলমান বলে নয়, তারা চান আমাদের সন্তান-সন্ততি থাকুক এবং এটা নিয়ে আমরা গর্বিত । চীনের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে, চীনের সমপরিমাণ জনসংখ্যা আনতে গেলে, হাম দো হামারা চার দরকার, হাম দো হামারা দুইয়ে হবে না।’
প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘জানাব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে দেখুন ; গণশিক্ষা সম্প্রসারণ ও গ্রন্থাগার সেবা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সরকারের মন্ত্রী যিনি সম্প্রতি বলেছিলেন যে তিনি ওয়াকফ (সংশোধন) বিল বাস্তবায়নের “অনুমতি দেবেন না”, এখন “হাম দো হামারে চার” ধারণাটি প্রচার করছেন।’
তিনি লিখেছেন,’ভারত, জনসংখ্যার বিস্ফোরণের সাথে জর্জরিত একটি দেশ, এই বিপদ সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করার এবং একটি ছোট পরিবার থাকার সুবিধাগুলিকে বোঝানোর জন্য কয়েক দশক ধরে চেষ্টা করছে এবং উপায় খুঁজছে। দুর্ভাগ্যবশত, মমতা ব্যানার্জির সরকারের একজন প্রবীণ মন্ত্রী “মানুষকে” আরও সন্তান নিতে বলছেন। তাও বিধানসভার মধ্যেই।’
রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’এটি ভারতের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিপদের ঘণ্টা, যেখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা ইতিমধ্যেই বসতি স্থাপন করেছে এবং সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা ৩৫% ছাড়িয়ে গেছে। এটি কি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য একটি গোপন ইঙ্গিত ? এটি কি জনবিন্যাসের পরিবর্তনের জন্য একটি গোপন আবেদন? কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল পাস করার এখনই উপযুক্ত সময় কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে এবং জনসংখ্যাগত পরিবর্তনগুলিকে বাধা দেওয়ার জন্য আইনটি প্রয়োজনীয়, যা বিকশিত ভারত-এর লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। অন্যথায়, এই ধরনের লোকেরা সমাজের একটি অংশকে আরও সন্তান নিতে উৎসাহিত করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে, কারণ এটি তাদের রাজনীতির জন্য উপযুক্ত।’।