এইদিন ওয়েবডেস্ক,খাগড়াছড়ি(বাংলাদেশ),০১ অক্টোবর : বৌদ্ধ ধর্মালম্বী এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির একটি কলেজের এক শিক্ষককে পিটিয়ে খুন করে ক্ষিপ্ত জনতা । তার জেরে কয়েক হাজার মুসলিম দল বেঁধে বৌদ্ধ ও হিন্দুদের অসংখ্য ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয় । বাদ যায়নি বৌদ্ধ মন্দিরও । খাগড়াছড়ি জেলার রাখাইন থানার চেংহ্লাউ পাড়ার একটি বৌদ্ধ মন্দিরে উন্মত্ত মুসলিম জনতার দল ব্যাপক ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় । দাহ্য তরল ঢেলে আগুন ধরানো হয় গৌতম বুদ্ধের ধাতব মূর্তিতেও । এলাকায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা থাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩টা থেকে জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে । আজ মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে কলেজের এক শিক্ষক একজন বৌদ্ধ ছাত্রীকে কলেজের একটা ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে । ছাত্রী কোনো রকমে ওই শিক্ষকের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাইরে এসে চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করে । তার চিৎকার শুনে কলেজের অনান্য ছাত্রছাত্রীসহ আশপাশের লোকজনের ভিড় জমে যায় । ক্ষিপ্ত জনতা ওই শিক্ষককে গণধোলাই দিতে শুরু করে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিকে ওই শিক্ষককে পিটিয়ে মারার খবর পেয়ে কয়েক হাজার মুসলিম জনতা এলাকার হিন্দু ও বৌদ্ধদের ঘরবাড়ি দোকানপাট ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেয় ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘উত্তজিত জনতাকে শান্ত করতে গিয়ে আমিও মারছি। এখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাকর।’ ইউএনও সুজন চন্দ্র রায় জানান, বর্তমানে পপরিস্থিতি থমথমে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিজিবি নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।।