আজিজুর রহমান ,বর্ধমান,০২ জুলাই :বিয়ে বাড়ি থেকে এক বিধবা আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করলো গলসি থানার পুলিশ । ধৃতের নাম উত্তম বাউরি । তার বাড়ি গলসি থানার সাঁকো গ্রামের পূর্ব পাড়ায় । যদিও বাকি অভিযুক্তের নাম পুলিশকে জানাতে পারেননি একই গ্রামের ডাঙা পাড়ার বাসিন্দা ওই নিগৃহীতা মহিলা । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তদের সন্ধান পেতে তল্লাশি চলছে।
নিগৃহীতার বড় মেয়ে পুলিশকে অভিযোগ
জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর মা পাশের পাড়ার একটি বিয়ে বাড়িতে যান । রাত আনুমানিক ২ টো নাগাদ ওই এলাকা নিবাসী উত্তম বাউরী তাঁর মাকে জোর পূর্বক বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সেখানকার একটি মোবাইল টাওয়ারের কাছে নিয়ে যায় ।নিগৃহীতার মেয়ের অভিযোগ,উত্তমের উদ্দেশ্য অসৎ বুঝতে পেরে তাঁর মা উত্তমকে বাধা দিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন । তখনই উত্তম ও তাঁর সঙ্গীরা মিলে ব্যাপক মারধোর করে তাঁর মায়ের দাঁত ভেঁঙে দেয় । শরীরে থাকা গহনাও তারা কেড়ে নেয় । এরপর উত্তম ও তার সাথে থাকা চারজন মিলে তাঁর মাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । পৈশাচিক এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁর মা ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন বলে নিগৃহীতার মেয়ে জানিয়েছেন ।
নিগৃহীতার বড় মেয়ে আরও দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মাকে কুপ্রস্তাব দিত সাঁকো গ্রামের পূর্ব পাড়া নিবাসী পেশায় ট্র্যাক্টর চালক উত্তম বাউরি । লোকলজ্জার ভয়ে তাঁর মা ওইসব নিয়ে মুখ খুলতেন না । তারই সূযোগ নিয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে উত্তম তিন-চারজনকে সাথে নিয়ে তাঁর মাকে গণধর্ষণ করে। এদিন ভোর বেলায় হুঁস ফিরলে তাঁর মা সেখান থেকে উঠে রাস্তার ধারে আসে । মায়ের মুখ থেকে ঘটনা সবিস্তার শুনে তাঁর প্রতিবেশী ও পার্টি নেতাদের বিষয়টি জানান ।
প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে গলসি থানার পুলিশ এসে নিগৃহীতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠায় ।এদিন সকালে ঘটনার কথা শুনে এলাকার বাসিন্দারা সকলে হতবাক হয়ে যান । নিগৃহীতার পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসী সকলেই অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন । জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযুক্ত এলাকার যুবক উত্তম বাউরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিগৃহীতা বাকী অভিযুক্তদের নাম বলতে পারছেন না। তবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে ।।