এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১৩ আগস্ট : প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪-এর জ্যাভলিন থ্রো প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জেতা পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম প্রায় ৩ থেকে ৬ কোটি টাকা পাবেন। কিন্তু নিজের দেশকে ট্যাক্স দিতে গিয়ে তার প্রচুর টাকা চলে যাবে । পাকিস্তান ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউ নিয়ম অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থের উপর কর দিতে হবে । তবে অলিম্পিকে সাফল্যের জন্য নাদিমকে পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়েছে আস্ত একটি মহিষ।
সদ্য শেষ হওয়া প্যারিস অলিম্পিকে ছেলেদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ে রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন আরশাদ নাদিম। আরশাদ নাদিম এখন পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা আয় করেছেন। পুরস্কারের টাকা পেয়ে তাকে এই পরিমাণের ওপর কর দিতে হবে। ফাইলার এবং নন-ফাইলার (করদাতা এবং অ-দাতাদের) জন্য করের হার আলাদা পাকিস্তানে । ফাইলারদের মোট অর্থের ১৫ শতাংশ দিতে হবে, আর নন-ফাইলারদের প্রাপ্ত পরিমাণের ৩০ শতাংশ দিতে হবে। আরশাদ করদাতা হলে তাকে তিন কোটি টাকা প্রাইজমানি দিতে হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।
স্বর্ণপদক জয়ী পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ ১০ কোটি টাকা, সিন্ধু সরকার ৫ কোটি, ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটস ফেডারেশন ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি, সিন্ধুর গভর্নর কামরান তেসোরি, ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ ও অর্ষা গায়ক ৩০ লাখ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন।
তবে এই সব নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছাড়া একজন ব্যক্তি নাদিমকে ভিন্ন ধরনের একটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তিনি হলেন নাদিমের শ্বশুর মুহাম্মদ নওয়াজ। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি তার জামাতাকে একটি মহিষ উপহার দেবেন।নওয়াজ কারণ হিসেবে বলেছেন, আমাদের গ্রাম্য প্রথা অনুযায়ী মহিষ উপহার দেওয়াটা অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের। নাদিম এর আগেও সফলতা পেয়েছেন, কিন্তু তিনি কখনোই তার গ্রামকে ভুলেননি। এখনও তিনি বাবা-মা ও ভাইদের সঙ্গে গ্রামেই থাকেন।নওয়াজ আরও বলেছেন, ছয় বছর আগে আমি আমার মেয়ের সঙ্গে নাদিমের বিয়ে দিয়েছি। সে সময় সে ছোটোখাটো কাজ করতো। তবে সব সময়ই তার নিজের খেলা নিয়ে খুবই নিষ্ঠা ছিল।
আরশাদ নাদিম,পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মিয়া চানুতে একটি দরিদ্র পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আজকে বিশ্ব স্তরে সাফল্য অর্জন করতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি । বাবা মুহাম্মদ আশরাফ রাজমিস্ত্রীর প্লাস্টারের কাজ করতেন, আরশাদ নাদিমও পরিবারকে সাহায্য করার জন্য বাবার সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি খেলাধুলায়ও নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন।।