এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৩ আগস্ট : বাংলাদেশে জামাত ইসলামি ও বিএনপি জঙ্গিদের দ্বারা মেহেরপুর ইসকন মন্দিরে নৃশংস, লক্ষ্যবস্তু হামলার কয়েকদিন পর, এটি সামনে এসেছে যে আক্রমণের সময় মন্দিরে আটকে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বা মন্দিরের পুরোহিতরা তাদের জীবন বাঁচাতে মন্দিরের একটি কূপের জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন। টিভি ৯-এর ভিডিও ফুটেজ অনুসারে, গত ৫ আগস্ট মন্দিরে হামলাকারী জঙ্গিরা দেবদেবীর মূর্তি ও হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পুড়ি দেয় । হিন্দু ভক্ত ও পুরোহিতরা তাদের জীবনের জন্য পালাতে বাধ্য হয় । সেই আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে, যারা হামলার সময় মন্দির থেকে পালাতে পারেনি তারা কূপে ঝাঁপ দিয়ে দাঙ্গাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,৫ আগস্ট প্রায় ১৬-১৭ জন মানুষ কুয়ায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন । পরে মন্দিরের আশেপাশের অন্যরা দড়ি দিয়ে কুয়ায় ঝাঁপ দেওয়া সমস্ত হিন্দুকে বের করে । টিভি ৯-এর ভিডিও প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । যাতে মেহেরপুর ইসকন মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাসকে দেখা যাচ্ছে । তিনি সাংবাদিককে মন্দিরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন । ভিডিওতে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ এবং হিন্দু দেবতার ভস্মীভূত পোস্টার দেখতে পাওয়া যায় ।
প্রসঙ্গত,গত ৫ আগস্ট মেহেরপুরের ইসকন মন্দিরে হামলা , ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। ১টি কালী মন্দির ও ২টি দুর্গা মন্দির লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। ১০টির বেশি হিন্দু বাড়ি এবং ৮/৯টি হিন্দু মালিকানাধীন দোকান লুট ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২ হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়। পরে, মেহেরপুর ইসকন মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন ।
তিনি বলেন,’তারা আমাদের ইসকন মন্দিরকে টার্গেট করেছে এবং ভাংচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরেও বোমা ছোড়া হয়। সারা রাত আমাদের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল, যখন আমরা কারও বাড়িতে আশ্রয় চাইছিলাম তারা বলেছিল যে আমরা যদি আপনাকে প্রবেশ করতে দিই তবে তারা (জঙ্গিরা) আমাদের বাড়িও জ্বালিয়ে দেবে।’ তিনি বলেন,’বাংলাদেশে ১৯৭১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, হিন্দুরা সর্বদা অত্যাচারিত হয়েছে ।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হিন্দুরা ইসলামি জঙ্গিদের হাতে ক্রমাগত হামলার সম্মুখীন হচ্ছে । জঙ্গিরা হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরকে ক্রমাগত লক্ষ্যবস্তু করছে । কোথাও কোথাও হিন্দুরা দল বেঁধে রাত পাহাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছে ৷ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিন্দুদের সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও ভরসা করতে পারছেন না সেদেশের হিন্দুরা৷
বাংলাদেশি হিন্দু যুবক উৎফল ভৌমিক (Utfal Bhowmick) সন্দেহ প্রকাশ করে লিখেছেন,’আবেগী সনাতনী ভাইয়েরা একটু সতর্ক থাকুন । যাদের কখনো সনাতনী যে ব্যক্তি দের পাসে ছিলো না, যাদের উদ্দেশ্য সবসময় হিন্দুদের বিক্রি করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া, তারা আজকে বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চাপ প্রয়োগের করে তারা সুযোগ নিতে চাচ্ছে তাই আমার সকল সনাতনী ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য একটি কথা আমরা আন্দোলন করবো এমন কোন ব্যক্তিকে সুযোগ নিতে দিব না যে ব্যক্তি আগে সনাতনী দের জন্য কথা বলেনি,এবং বুঝে শুনে কথা বলুন মাঠে নামুন, হাতে গোনা কিছু নেতা ও কিছু সংগঠন কিন্তু সনাতনী দের ঐক্যতা দেখেয়ি নেতা হয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে নাতো দিনশেষে এই আন্দোলন থেকে কিন্তু কোন উপকারে পাবে না সাধারণ সনাতনীরা,কিছু নেতা তাদের সাজানো প্ল্যান করে সকল হিন্দুদের মাঠে নামিয়ে তাদেরকে বিক্রি করে তারা নেতা হতে চাচ্ছে। একটা চিন্তা করে দেখেন বাড়ি ঘর লুটপাট কি শুধু হিন্দু বাড়িতে হচ্ছে না সকল ধর্মের বাড়িতে হচ্ছে। আমি ও ক্ষুদ্র মনে যতটুকু জানি আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমাদের দাবি পূরণের কোন ক্ষমতা আছে কি তা আমার সঠিক জানা নেই। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা আমরা,প্রশাসন এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী ধর্মের ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে দিতে হবে। এমনকি আমাদের পার্শ্ববর্তী ধর্মের ভাইয়েরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিন্তু কিছু দুষ্কৃতিকারী ছিলো বর্তমানে আছে ভবিষ্যতে থাকবে ওদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে সকল ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে। আশা করি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা গন আমাদের সঠিক সনাতনী নেতা ও নিরাপত্তা দিবে।।