এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ আগস্ট : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মত ধর্ষণ-খুনের হুমকি দেওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের নাম সুশান্ত রায়(৪০)৷ তার বাড়ি ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২১,১৩২,৩৫২ ও ৩৫২(২)ধারায় মামলা রুজু করে আজ রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়েছিল । বিচারক তাকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে । আদালতে যাওয়ার আগে ভাতার থানায় ধৃত সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে ।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত ২ টো ১৫ নাগাদ । হাসপাতালের আউটডোরের দায়িত্বে ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ এক মহিলা চিকিৎসক। সেই সময় সুশান্ত রায় পেটে ব্যাথা এবং ও মাথা ঘোরার উপসর্গের কথা বলে চিকিৎসার জন্য জন্য গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ওই চিকিৎসক । সেই সময় অন্য এক রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি । একারনে সুশান্ত রায় নামে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং আর জি করের তরুনী চিকিৎসকের মত ধর্ষণ খুনের হুমকি দেন বলে অভিযোগ । চিকিৎসকের আরও দাবি যে সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার । যদিও ধৃতের বাবা কালাচাঁদ রায়ের দাবি,’একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে না দিয়ে ছেলেকে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়েছিল । এজন্য আমার ছেলে প্রতিবাদ করে এবং চিকিৎসকের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়েছিল বলে শুনেছি । এর বেশি আমার কিছু জানা নেই ।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে তার ছেলে মাঝেমধ্যে নেশা করে তবে স্বভাব খারাপ নয় ।
এদিকে গভীর রাতে ডিউটিতে থাকা একজন মহিলা চিকিৎসকে আরজি করের মত অবস্থা করার হুমকি দেওয়ায় তিনি ভয় পেয়ে যান । হাসপাতালে কর্তব্যরত অন্যান্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ডেকে বিষয়টি জানান । তারপর তাদের কাছে ফোন নম্বর নিয়ে থানায় বিষয়টি জানান । পরের দিন শনিবার,জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামীর উপস্থিতিতে হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা থানায় এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান । ভারপ্রাপ্ত ওসিকে তারা একটা স্মারকলিপিও জমা দেন । এরপর ওইদিন রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।