এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১০ আগস্ট : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এক সময় মন্তব্য করেছিলেন, ‘যে গরুর দুধ দেয়’ তার প্রতি নাকি বেশি নজর দেওয়াটা অস্বাভিক কিছু নয় । রাজ্য বিজেপি মমতা ব্যানার্জিকে ‘তোষামদের রাজনীতি‘ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করলে তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ আমি তোষামোদের রাজনীতি করি’ । কংগ্রেস দল ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীও মুসলিম তোষণের রাজনীতিতে অভ্যস্ত । যদিও তাকে ভোট এলে সাধু সন্ন্যাসীর পোশাক পড়ে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় । পাশাপাশি সিপিএম শেখ হাসিনার দেশত্যাগে উচ্ছাস প্রকাশ করে জামাতে ইসলামীর নাশকতাকে কার্যত ন্যায্যতা দিয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ বা দেশের কোন বামপন্থী নেতাই বাংলাদেশের হিন্দুদের নরসংহার নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেন।
এদিকে শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে আসা পর বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের নরসংহার চলছে বলে অভিযোগ । তবে এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কংগ্রেস, তৃণমূল বা সিপিএমকে প্রতিবাদ করতে শোনা যায়নি । উলটে ভারতের বামপন্থী মিডিয়া বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় হিন্দুদেরকেই অভিযুক্ত করছে । মমতা ব্যানার্জিও ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগের’ মন্তব্য করে দায় সেরেছে । রাহুল গান্ধী বা মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে বাংলাদেশের হিন্দু নরসংহার নিয়ে প্রকৃত অর্থে কোন প্রতিবাদ শোনা যায়নি।
ভারতের এই সমস্ত তথাকথিত সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলোকে সংসদে আয়না দেখিয়ে দিলেন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিজেপি সাংসদ বিষ্ণু পদ রায় । শুক্রবার সংসদে নিজের ভাষনে বিষ্ণু পদ রায় বলেছেন, ‘আমার বাবা ১৯৪৬ সালে পশ্চিম পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশ থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন । পরে তিনি কোন কারণে আন্দামানে গিয়েছিলেন । কিন্তু আজ বাংলাদেশে যা হচ্ছে….যেভাবে মায়েদের আর্তনাদ….সংসদে বাংলার লোক বসে রয়েছেন এখন…তারব চুপচাপ বসে আছেন…কেউ কোন সাড়া শব্দ দিচ্ছেন না । এদিকে শরণার্থী হিসেবে এসেই যাচ্ছে… ভারতের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে তাদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশের মায়েদের আর্তনাদ এদের কানে ঢুকছে না । কান্না,মারধর, মৃত্যু, কেটে ফেলার ঘটনা… লুটতরাজের ঘটনা…অল্প বয়সী ছেলেরা প্রাণ বাঁচাতে চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করছে…কংগ্রেস- সিপিএম-তৃণমূল মিলে এই ঘটনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুক…বাংলাদেশের বিরোধিতা করুক । কিন্তু এরা মুখ খুলছে না…পাকিস্তানিরা এস… বাংলাদেশিরা এসো… ভারতকে পাকিস্তান তৈরি কর । এটাই এদের বিচারধারা । তৃণমূল কথা বলবে না, কংগ্রেস কথা বলবে না, মুখ খুলবে না রাহুল গান্ধী… ভোট ব্যাংক……পাকিস্তানি এসো……বাংলাদেশী এসো ।’ তিনি বলেছেন,’কিন্তু আমরা এর বিরোধিতা করবো এবং পার্লামেন্ট থেকে এই বিষয়ে একটা পত্র লিখে বাংলাদেশের কাছে পাঠাবো ।’।