এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৮ আগস্ট : টিউশন না পড়ায় প্রাণীবিদ্যা বিষয়ে বেশকিছু পড়ুয়াকে ইন্টারন্যাল এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে চক্রান্ত করে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া কলেজের তিন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে । কৌশিক সরকার,সুলগ্না মুখোপাধ্যায় এবং চন্দ্রাণী দাস নামে ওই ৩ শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলেজ চত্বরে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রতিবাদ জানালো অকৃতকার্য পড়ুয়ারা । এক একটি পোস্টারে এক একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার নাম উল্লেখ করে ছড়া লেখা হয়েছে,’কলেজটা তোমার বাপের নাকি,করছো হেলাফেলা। কিছু বললেই ধরছো চেপে ছাত্রছাত্রীর গলা ।’ ঘটনাকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ।
প্রসঙ্গত,কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের পঞ্চম সেমিষ্টারের পরীক্ষায় বেশকিছু পড়ুয়াকে ইন্টারন্যাল এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই ৩ শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে । যেকারণে ১১ জন ছাত্রছাত্রী ওই বিষয়টিতে ফেল করে । মাস দেড়েক আগে ফলপ্রকাশ হলে চরম ক্ষিপ্ত হন অকৃতকার্য পড়ুয়ারা । অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ তোলে যে ওই ৩ শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে টিউশন পড়তে না যাওয়ার ‘অপরাধে’ চক্রান্ত করে কম নম্বর দিয়ে তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে । তাঁরা কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তখন গণ অভিযোগ জমা দিয়েউত্তরপত্র ফের যাচাই করার দাবি তোলেন ।
কাটোয়া কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেছেন, পড়ুয়াদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল । বিষয়ট খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট জমাও পড়েছে । কিছু ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য ধরা পড়েছে । সেই কারনে বিষয়টি নিয়ে পরিচালন কমিটিতে আবারও আলোচনা হবে।’ যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে কৌশিক সরকার ও চন্দ্রাণী দাসের কোনো মতামত পাওয়া যায়নি । কিন্তু সুলগ্না মুখোপাধ্যায় জানান যে অকৃতকার্য পড়ুয়ারা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে কারন তারা আদপেই টিউশন পড়ান না ।
যদিও কলেজের ষষ্ঠ সেমিষ্টারের ছাত্র মনীন্দ্র শেখর ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ সরকারদের দাবি, কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তিন শিক্ষক শিক্ষিকা মিলে চক্রান্ত করে এই কাজ করেছেন । কারন তারা ওই তিন শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে টিউশন পড়তেন না । তাই অধ্যক্ষের কাছে উত্তরপত্র নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখার দাবি জানানোর পর কোনো বিহিত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা আজ কলেজে পোস্টার লাগিয়েছেন ।।