প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ আগস্ট : প্রবল গণ আন্দোলন। আর তার জেরেই হাসিনা সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছে বাংলাদেশে । শুধু সাম্রাজ্যের অবসানই নয় ,হাসিনা এখন নিজের দেশ ছাড়া হয়ে পরদেশবাসী । তবুও বাংলাদেশে নিভছে না অশান্তির আগুন। হাসিনা বিদায়ের পরেই বাংলাদেশ পুড়ছে অশান্তির আগুনে।বসেই অশান্তির আগুন নিভিয়ে বাংলাদেশে সুশাসন ফেরানোর হাল এবার কাঁধে তুলে নিতে চলছেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনুস। শেখ হাসিনা যাঁকে ’গরিবের রক্ত চোষা’ বলে কটুক্তি করতেন সেই মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের কাছে এখন নয়নের মণি। তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশবাসী এখন যেমন উন্মাদনায় ভাসছে তেমনি উন্মাদনায় ভাসছে বর্ধমান নিবাসী তাঁর আত্মীয় মহম্মদ আসকাফ হোসেন।
বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি এলাকায় বাড়ি আসকাফ হোসেন ওরফে বাবু মিয়া।তিনি জন্মসূত্রেই বর্ধমানের বাসিন্দা । আসফাক হোসেন সম্পর্কে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুসের শ্যালক । সেই হিসাবে আসফাক হোসেনের বাড়ি মহম্মদ ইউনুসের শ্বশুর বাড়ি। তাই মহম্মদ ইউনুসনে নিয়ে এখন উন্মাদনায় ভাসছে বাবু মিয়া সহ তাঁর পরিবার সদস্যরা ।
তবে ভারতের সঙ্গে বিদ্বেষ নয় । আসফাক হোসেন চান বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মধুর সম্পর্ক । সবাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে সেই পথেই হাঁটবেন বলে আশাবাদী শ্যালক মহম্মদ আসফাক হোসেন । ওপার বাংলার মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে এপার বাংলার বর্ধমানের আসফাক হোসেনের পরিবারের খুবই ঘনিষ্টতা রয়েছে । এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন আসকাফ । তিনি বলেন,আমাদের পরিবারের সঙ্গে ইউনুস হোসেনের পরিবারের মধ্যে খুবই ঘনিষ্টতা রয়েছে।তাঁরা প্রতি বছরই বাংলাদেশে যান। আসফাক হোসেনের কথায়,আমার ভাগ্নে আমার হার্টের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়। ইউরিনের কিছু সমস্যা দেখা দিলেয় তখন ওখানেই চিকিৎসা হয়। ‘
শুধু তাই নয় ,আসফাক হোসেন এও বলেন,আমরা মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে যাই ,এটা আমার দিদিও চান।নয়তো দিদি রাগ করে। বলে, এতদিন আসিসনি কেন ? আমারও তো মন কাঁদে। মামাতো ভাইবোনেরা থাকে যে!’ আর একটা আবদারও রয়েছে দিদির। সেটা হল ’’স্পট ভিসার’ ব্যবস্থা করা। এখানে ১৫/২০ দিন লেগে যায়। অন্য দেশে তো দেয়।’প্রবীণ নাগরিকদের ওদেশে সহজে যাবার সুযোগ যাতে দেওয়া হয় তার আবেদন জামাইবাবু মহম্মদ ইউনুস হোসেনের কাছে রাখবেন বলে আসফাক হোসেন জানিয়েছেন।
শুধু এ টুকুই নয় ,আসকাফ হোসেনের আশা তাঁর জামাইবাবু মহম্মদ ইউনুস হোসেন নিশ্চই চেষ্টা করবেন,’সব কিছু ট্যাকল করে একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে। আসফাক হোসেন ও তাঁর পরিবার সদস্যরা ঈশ্বর, আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের শান্তি ও সম্বৃদ্ধি কামনা করেছেন।।