এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৭ আগস্ট : বোন-ভগ্নিপতির পারিবারিক ঝামেলা মেটাতে মিমাংসা সভা চলাকালীন ভগ্নিপতির হাতে খুন হতে হল সমন্ধীকে । পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার খুর্তুবা গ্রামের ঘটনা । মৃতের নাম মলয় মাজি । কাটোয়া থানার শ্রীখন্ডগ্রামে তার বাড়ি । মিমাংসা সভায় বচসার সময় মলয়ের ভগ্নিপতি মহাদেব মাঝি (২২) তার মাথায় একটা মোটা কাঠ দিয়ে সজোরে পিটিয়ে মারলে সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় তার । এই ঘটনায় মৃতের মা কৃষ্ণা মাজির অভিযোগের ভিত্তিতে মহাদেব, মহাদেবের বাবা গোরাচাঁদ মাঝি (৪৫) এবং মা উমা মাঝি (৪০)কে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । আজ বুধবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে মহাদেবকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজত এবং বাকি দুজনকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,কাটোয়া থানার শ্রীখন্ডগ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণা মাজির মেয়ে উর্মিলার সঙ্গে খুর্তুবা গ্রামের বাসিন্দা মহাদেবের বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয় ।কৃষ্ণা দেবীর অভিযোগ,বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে অশান্তি করত জামাই মহাদেব ।
সেই ঝামেলা মেটাতে গত ২১ জুন বোন উর্মিলার শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন দাদা মলয় মাজি । সঙ্গে ছিলেন মলয়ের স্ত্রীও। কিন্তু আপোষ মীমাংসার চলাকালীন দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয় । সময় মহাদেব একটি মোটা কাঠ নিয়ে তাঁর সমন্ধীর মলয়ের মাথায় সজোরে আঘাত করে ।
জানা গেছে,রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন মলয় । তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীখণ্ড প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং পরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । সেখানেও মলয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকায় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় । কিন্তু দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৪ জুলাই মৃত্যু হয় তার । গত মঙ্গলবার মৃতের মা এনিয়ে মঙ্গলবার মঙ্গলকোট থানায় একটা এফআইআর রজু করেন । তার ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই মৃতের ঘাতক ভগ্নিপতি ও তার বাবা- মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।।