শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),৩০ জুন : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ‘হুল দিবস’ বা ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ দিবস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন । প্রায় ১৫০ বছর পূর্বে ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন দুই আদিবাসী যুবক- সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মু । সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে এই দুই সহদোর ভাই মিলে আদিবাসী সম্প্রায়ের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে অত্যাচারী বৃটিশ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন । তারপর ১৮৬৫ সালে সিধু-কানুর নেতৃত্বে হয় আদিবাসীদের বিদ্রোহ । এটিই ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলে ইংরেজ সিপাহিরা । তাদের স্মরনে প্রতিবছর ৩০শে জুন পালিত হয় ‘হুল দিবস’ বা ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ দিবস ।
বুধবার ৩০ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ওড়গ্রামে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হল পবিত্র এই দিনটি । পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আদিবাসী সংগঠনের উদ্যোগে ও ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর সহযোগিতায় ওরগ্রাম পাওয়ার হাউস মাঠে এই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বাসুদেব যশ,রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু কোনারসহ পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর ছাত্র সংগঠনের সদস্য বৃন্দ । এদিন পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী । তারপর একে একে সকলে আদিবাসী দুই বীর সিধু-কানুর প্রতিকৃতিতে ফুলমালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ।।