এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিহার,০৪ আগস্ট : স্কুলে পড়াশোনার সময়েই এক সহপাঠী কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিন এক কিশোরী । কিন্তু কিশোরীর বিবাহের উপযুক্ত বয়স হলে তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার । একটি পুত্র সন্তানও হয় তার । কিন্তু কৈশরের প্রেম কিছুতেই তিনি ভুলতে পারেননি তিনি । শ্বশুরবাড়িতে গোপনে প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমালাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বধূ । ইতিমধ্যে একদিন রাতে প্রেমিক চুপিচুপি চলে আসে বধূর শ্বশুরবাড়িতে । দীর্ঘ দিন যুগল একে অপরের থেকে দূরে থাকার পর মুখোমুখি হয়ে নিজেদের আবেগকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি । কিন্তু তাদের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তে দেখে ফেলে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । এরপর বধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিয়ে ফেলে একটা চরম সিদ্ধান্ত । যা এলাকার মানুষকে বিস্মিত করে দিয়েছে । কারন বধূকে তারা তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে । প্রাক্তন স্বামী সুখি থাকার আশীর্বাদও করে । তবে একমাত্র বংশধর বধূর নাবালক ছেলেকে তারা ছাড়েননি । তা হলেও কৈশরের প্রেমিকের সাথে মিলন করে দেওয়ার জন্য প্রাক্তন স্বামীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি ওই তরুনী ।ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের লক্ষীসরাই জেলার রামনগর গ্রামে।
জানা গেছে,২২ বছর বয়সী খুশবু কুমারী এবং ২৬ বছর বয়সী রাজেশ কুমারের ২০২১ সালে বিয়ে হয় । তাদের দুজনের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু বিবাহ এবং তার পুত্রের জন্মের পরেও, খুশবু কুমারী তার বাল্যবন্ধু চন্দন কুমারের সাথে গভীরভাবে প্রেম করতে থাকেন। চন্দন কুমার এক রাতে যুবতীর সাথে দেখা করতে বাড়িতে এলে ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। তরুণীকে দেখতে আসা চন্দন কুমারকে ধরে ফেলে স্বামীর পরিবার। পরে খুশবুকে তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত সপ্তাহে গ্রামের একটা মন্দিরে তাদের বিয়ে হয়। অনুষ্ঠানের পর, যুবতীর প্রাক্তন স্বামী বিয়েতে তার পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন, যুবতী এবং তার প্রেমিকাকে আশীর্বাদ করেছেন এবং তাদের বিদায় জানিয়েছেন ।
দুজনকে আশীর্বাদ করে রাজেশ বলেন,’দুজনেই গভীর প্রেমে পড়েছিলেন এবং আমি প্রায়ই তাদের একে অপরের সাথে কথা বলতে দেখেছি। তাদের খুশির জন্যই আমি আমার স্ত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি ।’ এদিকে প্রেমকে সহজভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রাক্তন স্বামী রাজেশকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন খুশবু।
কিন্তু রাজেশের অবস্থান হল তিনি ছেলেকে ছাড়বেন না। রাজেশের মা বলেন যে আমরা তাকে ছেড়ে দিতে পারি না । সে আমাদের একমাত্র বংশধর । আমাদের পরিবারের খুব আদরের । তাই আমার নাতির দায়িত্ব আমাদেরই ।।