এইদিন ওয়েবডেস্ক,২১ জুলাই : বাংলাদেশের মুসলিমদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে ভারত বিদ্বেষী মানসিকতা । ঠিক যেমনটি লক্ষ্য করা যায় আর এক ইসলামী রাষ্ট্র পাকিস্তানে । যেখানে শৈশব থেকেই ভারত বিদ্বেষী শিক্ষা পায় ছেলেমেয়েরা । ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে যেকোনো ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধাচরণ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলিমরা ৷ বাংলাদেশের চলমান সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনেও তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল, উঠল ভারত বিদ্বেষী স্লোগান । এইরকমই একটা ভারতের প্রতি বিদ্বেষমূলক স্লোগান দেওয়া বাংলাদেশী মুসলিম ছাত্রদের মিছিলের একটা ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং । মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া একজন নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত যাদের মামার বাড়ি… বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’, ‘দিল্লি না ঢাকা…ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের আগ্রাসন… রুখে দাও জনগণ’ এবং ‘ভারতীয় পণ্য… বর্জন বর্জন‘ প্রভৃতি স্লোগান ওঠে ।
ভিডিও শেয়ারের পাশাপাশি জিতেন্দ্র প্রতাপ সিং লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে চলমান সংরক্ষণ বিরোধী সহিংসতা এখন ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী সহিংসতায় রূপান্তরিত হয়েছে। একজন প্রতিবাদী মাইকে কথা বলছেন । “ভারত যাদের মামার বাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি” । অর্থাৎ, যাদের মামার বাড়ি ভারত তাদের দ্রুত বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই সহিংসতার আড়ালে বাংলাদেশে যে গুটিকয়েক হিন্দু অবশিষ্ট আছে, তাদের বাড়িঘরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং সারা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।’
এদিকে আজ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ বাতিল করে দিয়েছে । বাংলাদেশের নিম্ন আদালতের সংরক্ষণ পুনর্বহালকে বেআইনি ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট । তবে সিভিল সার্ভিসের চাকরিতে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা পরিবারের জন্য। যেখানে অন্যান্য চাকরিতে তাদের দেওয়া হবে ২ শতাংশ কোটা। এর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের বিধান ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৮ সালেই এই সংরক্ষণের নিয়ম বাতিল করে ছিলেন। কিন্তু, গত মাসে হাইকোর্ট তা পুনরায় কার্যকর করে ।।