প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ জুন : শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত শেখ ফটিককে হেফাজতে নিল সিআইডি। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার আটপাড়ার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বোমা বিস্ফরণের ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আটপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে । আরও বোমা উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে সিআইডির তদন্তকারী অফিসার শ্যামল শিকদার এদিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশকরে ধৃতকে ৭ দিন সিআইডি হেফাজত নেওয়ার আবেদন জানান। । সিজেএম ধৃতকে ৫ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টে নাগাদ আটপাড়া গ্রামে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রটি কার্যত উড়ে যায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সিআইডির গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে যান। সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের একটি বাথরুমে বোমা মজুত করা ছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন । এরপর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ফটিকের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ স্থলে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সেখানে বোমা মজুত করে বালি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা প্রকাশ করেন । সেই ঘটনায় ফটিক গ্রেপ্তার হয়। সিআইডি জেনেছে, ফটিক দীর্ঘদিন ধরে বোমার কারবারে জড়িত। খুব কম বয়সে বোমা বাঁধার সময়ে বিস্ফোরণে তাঁর কব্জির নীচে থেকে হাতের অংশ উড়ে যায়।
সিআইডির এক অফিসার বলেন, ’ধৃত দীর্ঘদিন ধরে বোমার কারবারে জড়িত। বিভিন্ন জায়গায় সে বোমা সরবরাহও করে। এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বাথরুমে বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। ঠিকভাবে না রাখার ফলে এবং প্রচণ্ড তাপে সম্ভবত ওই বোমাগুলি ফেটে যায়। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে বোমার কারবারে তার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হবে।কোথায় কোথায় সে বোমা সরবরাহ করেছে তাও জানা হবে ।’।