যেদিন আমাকে আর খুঁজে পাবি না ,সেদিন জানবি আমি তোকে ঠকিয়েছি ।
হ্যাঁ হ্যাঁ
আমি তোকে ঠকিয়েছি ঠিকই।
তোকে না জানিয়ে অনেকটা পথ একাই চলে এসেছি।
তোকে জানালেই হয়তো তুই আমার হাতটা কিছুতেই ছাড়তিস না।
আমাদের প্রেমটা ছিলো লগ্নভ্রষ্টা প্রেম।
সিঁথি রাঙিয়ে যে রাজপথ ধরে হেঁটেছিলাম সেটা ছিলো আমার চরিত্রের আর একটা দিক।
রাজপথটায় ছিল নিষ্কলঙ্ক চাঁদের রূপের ছটার আভা।
একদিকে এক রত্তি মেয়েটার কান্না,
আর একদিকে তোকে দেওয়া কথা।
যেটা আজো সিগারেটের ছ্যাঁকার মতো মন পোড়ায়।
তোর সেদিনের কথাগুলো বিক্রি হয়ে গেলো এক বাবার দাঁড়িপাল্লায়।
অনুভূতিগুলোকে একটা একটা করে পায়ে পিষে এগিয়ে গিয়েছিলাম স্বর্গরাজ্যে।
সুখগুলো কেড়ে নিয়ে তোকে একা করে দুঃখ যন্ত্রণার পাহাড় চূড়া থেকে ফেলে দিয়েছিলাম।
আমি সেদিন মৃত ছিলাম।
তুই বুঝতেও পারিস নি।
আজ আমি বাঁচতে শিখেছি, তাই হাসতে হাসতে অনেকটা পথ হেঁটে যাবার দুঃসাহস দেখিয়েছি।
রাজপথেও আমি একা ছিলাম
তাই কাঁচের টুকরোগুলো আমার পায়ে একটুও ব্যথা দেয়নি।
সব সয়ে যেতে যেতে পাঁজরে কাঁটা বিঁধে যাওয়া মেয়েটা ভালো ঘরণী হলেও প্রেমটাকে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করেছিল।
অপূর্ণ প্রেম বিছানায় বালিশ চাপা দেওয়া ছিল।
তাই তোকে কিছু বলে উঠতে পারিনি,
একার রাজ্যে একার মতো নিঃসঙ্গতায় কুঁকড়ে যাওয়া বুকে হঠাৎ অন্ধকারে ঝাপটা লেগেছিল।
এক মুহুর্তে রঙীন ভালোবাসার ছোঁয়াও পেয়েছিলাম।
সেই মুহুর্তে নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম।
সবটাই আমার অজান্তে ঘটেছিল।
তোর ছোঁয়া একটুও আমার শরীর স্পর্শ করেনি।
অসহায় হয়ে বেঁচে থেকে যদি কঠিন চাওয়া গুলো জেগে ওঠে !!!
তাই
তাই তো
চললাম নিজের পছন্দের অন্ধকার গলিতে কেউ ডাকবেনা, কেউ ছোঁবেনা, কেউ প্রশ্ন করবে না।
একার রাজ্যে থাকি না হয় একার মতোই।
ফিরে দেখা আর হোলো না।।