এক প্রেমছিন্ন
প্রেমিক বলেছিল,
“আমার পছন্দের
সবচেয়ে সুন্দর
মানুষগুলো সবসময়ই
অন্যের থাকে।”
এক ক্ষুধার্ত
বলেছিল,
“আমার খিদে
নিবারন করার
খাবারগুলো সবসময়
কাঁচ বন্দি থাকে।”
এক সদ্য সংসার
ভাঙ্গা সংসারী
বলেছিল,
“সংসার কি চেনার
আগেই তারা আমায়
সং সাজিয়ে দিলো
তাই কাতরাতে
সাঁতরাতে পারলাম না”।
এক সন্তানহীন
মা বলেছিলেন,
” পৃথিবীর কতো
শিশুর মায়ের
অভাব আর আমি
তাদের অভাবের
খাতায় নিজের
নামটা তুলতে
পারলাম না। “
এক হতাশ বাবা
বলেছিলেন,
“সন্তানের বাবা
নাম দেয়া যতোটা
সহজ সন্তানকে
মানুষ নাম দেয়া
ততটাই কঠিন।”
এক ঘরহীন
বলেছিল,
“শত শত ঘরের
ভিড়ে আমার
আকাশ নামক
ছাদটা থাকা
স্বত্বেও বৃষ্টি
এলে ভিজে যাই।”
এক হতাশ
ভাই বলেছিল,
“আমার সুঠাম
বল-বাহু দেহ
থাকা স্বত্বেও
আমার কতশত
বোন দ্রোপদী।”
এক পথভ্রষ্ট
বলেছিল,
“কোমলে ভরা
পথেও কেন কাটা
ফুটার শব্দ পাই?”
এক শিক্ষক
বলেছিলেন,
“তবে শেষে তারা
প্রমাণ করতে চাইলো
শিক্ষা দিতে আমি
ব্যর্থ তাই আজ
ছাত্রের হাতে
গলায় মালা আর
আমার মাথা নত।”
এক দেশভোগী
বলেছিল,
“খেতে খেতে ভুঁড়ি
ফোলে গলা পর্যন্ত
তবুও কেনো শেষ
হয়না রাজার ধন?”
এক দেশপ্রেমিক
বলেছিল,
“স্বাধীন করা দেশে
শহীদের আধো
শুকানো রক্তের
সাথে বিষের গন্ধ পাই।”
এক বিশ্বাসঘাতক
বলেছিল,
“চামড়ার নিচে
চামড়ার চাষ করি
কেউ বুঝতেই পারে না।”
এক নির্যাতিতা
বলেছিলেন,
“আজ বিশ্বকে
আশীর্বাদ করি যেন
তার ঘরে কখনো
দুর্বল না জন্মায়।”
কিন্তু নেই কোনো উত্তর!