এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,০২ জুন : বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভূষণ রায়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে স্ত্রী রাশেদা বেগম। স্ত্রী ইতিমধ্যে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছে এবং বাড়ি গেলে তাড়িয়ে দিচ্ছে । এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (২৩ মে ২০২৪) দেবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আবু সাঈদ নামে এক ব্যক্তি ।
পামুলী ইউনিয়নের কাঁঠালতলী এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ । বেশ কয়েক বছর আগে রাশেদার সঙ্গে তার দেখাশোনা করে নিহাহ হয় । রাশেদা বেগম প্রাক্তন ইউপি সদস্য । সেই সূত্রে চেয়ারম্যান মনি ভূষণ রায়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ আবু সাঈদের । পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন,তিনি কর্মসূত্রে ২০১৭ সালে ওমানে চলে যান । সেখানে থাকার সময়ে তিনি স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন । প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তিনি ফোনে জানতে পারেন যে চেয়ারম্যান দিনে ও রাতে বিভিন্ন সময়ে সময় কাটাতে তার বাড়িতে আসছে । তার অনুপস্থিতিতে রাশেদা চেয়ারম্যানের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে বলে তার সন্দেহ ।
তিনি বলেন,বিষয়টি জানার পর আমি ২০২১ সালে দেশে ফিরে আসি । পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়ে রাশেদাকে প্রশ্ন করলে সে সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেয় । প্রথমবার বলে তাকে শুধরানোর সুযোগ দিই । তবে চার বছরে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার সঠিক হিসাব দিতে পারেনি আমার স্ত্রী । এরপর আমি আর ওমানে না গিয়ে ঢাকায় একটা কাজে লাগি । মাস সাতেক আগে আমি ঢাকায় থাকার সময় প্রেমিক মণি ভূষণের সঙ্গে ভারতে চলে যায় রাশেদা । অনেক পরে আমি বিষয়টা জানতে পারি। পরে এনিয়ে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলি এবং রাশেদার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য অনুরোধ করি । কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি, দু’জনের পরকীয়া যথারীতি চলছে ।
আবু সাঈদের অভিযোগ,গত ২০ মে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে আমাকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি আমার স্ত্রী রাশেদা। উল্টো চেয়ারম্যানকে ফোনে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান একজন গ্রাম পুলিশকে সেখানে পাহাড়ায় বসিয়ে দেয় । এদিকে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে রাশেদা বেগম এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পেরেছি ।
রাশেদা বেগমের স্বামী আবু সাঈদ বলেন, আমার রক্ত জল করা পরিশ্রমের টাকায় আমার স্ত্রী আমার নামে জমি না কিনে নিজের নামে চার বিঘা জমি কিনেছে । আর আজ আমি কার্যত নিঃস্ব হয়ে গেছি ।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান মণি ভূষণ রায় বলেন,এক সময় ইউপি সদস্য ছিলেন রাশেদা বেগম। এই কারনে অফিসের কাজের জন্য ওনার বাড়িতে আমায় আসতে হত । তবে গত ৬ মাস আমি ওনার বাড়ি যায়নি ।’ সেই সাথে রাশেদা বেগম বলেন, সংসারে একটু কলহ হতেই পারে। আমার স্বামী অন্যের কথায় এসব উলট পালটা অভিযোগ করছেন। আর বসতভিটা আমি আমার নিজের টাকায় কিনেছি। সুদের ব্যবসা এবং ভাইবোনদের কাছ থেকে এই টাকা এসেছে । বাড়িতে চেয়ারম্যানের আসা-যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ।’ তবে প্রেমিক যুগল পরকীয়ার কথা অস্বীকার করলেও কাঁঠাতলী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছে যে চেয়ারম্যান ও রাশেদার প্রেমের সম্পর্ক এখনো চলছে । দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।