এইদিন ওয়েবডেস্ক,২৮ মে : দিন দুয়েক ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ হ্যাশট্যাগ অ্যারেস্ট প্রাক্তন মুসলিম সমীর ট্রেন্ড চলছে । পাশাপাশি ওই যুবকের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । ভিডিওতে ওই যুবককে বলতে শোনা গেছে,’তোমাদের কোরানকে আমি কি নজরে দেখি জানো ?’ এরপর ওই যুবক জুতো পরা ডানপা টা কোরানের ওপর রেখে বলেন, ‘এই,তোমাদের কোরানের এটাই পথ,আমি এক্স মুসলিম সমীরের কাছে ।’ এরপর যুবক চেয়ারে বসে কোরানের পাতা উল্টাতে উল্টাতে বলেন,তোমাদের আল্লাহ এই কথাই বলে না ?’ এরপর তিনি কোরানের আয়াত পড়ে শুনিয়ে একের পর এক পাতা ছিড়ে বলেন, ‘নে হিফাজত কর । যত হিফাজত করার আছে কর । আমি তোদের কোরান জ্বালাচ্ছি আর ছিঁড়ছি।’ এরপর গ্যাস লাইটার দিয়ে কোরানের একটা ছেঁড়া পাতায় আগুন ধরিয়ে বলেন,’এই নে, আমার কাছ থেকে এর হিফাজত করে দেখা দেখি । কেউ আছিস যে আমাকে আটকাতে পারিস ? যাও, যা মর্জি করো, আদালতে মামলা করো, আমি….।’ এরপর ভিডিওটি কেটে দেওয়া হয় । বলা হচ্ছে যে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এক কান্ড ঘটান ওই যুবক ।
সোমবার থেকে এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে এবং ওই যুবককে গ্রেফতারের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মুসলিমরা দাবি তুলছে । মিস্টার হক নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন,’নাম- সাদাকাত আলী কুরেশি ওরফে সিদ্ধার্থ চতুর্বেদী। পিতার নাম- রিফাকত আলী কোরেশী (গরু মাংস বিক্রির দায়ে জেলে) । সাদাকাত বিয়ের প্রস্তাবের আড়ালে অনেক হিন্দু মেয়েকে যৌন শোষণ করেছে। সিদ্ধার্থ নামের আড়ালে তিনি লাইভ স্ট্রিমে কোরান তেলাওয়াত করেন।’
এক ব্যবহারকারী দাবি তুলেছেন,’এই সিদ্ধার্থ চতুর্বেদী উত্তরাখণ্ডের, আমি সেখানকার মুসলমানদের কাছে এবং সারা ভারতে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য আবেদন করছি। গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত লিখুন আরটি করুন!’ আর একজন লিখেছেন, ‘ইউটিউব চ্যানেলের লাইভে এসে প্রাক্তন মুসলিম সমীর, সিদ্ধার্থ চতুর্বেদী মুসলমানদের ধর্মীয় ধর্মগ্রন্থ কুরআন মজিদে পা ফেলেন এবং কুরআনের অবমাননা করে তা পুড়িয়ে ফেলেন। কিন্তু অভিযুক্ত সিদ্ধার্থ চতুর্বেদীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি ভারতীয় পুলিশ।’
উত্তরাখণ্ড পুলিশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে,’হরিদ্বারে কোথাও পবিত্র কোরান অবমাননার কোনো ঘটনা ঘটেনি বা প্রাক্তন মুসলিম সমীর ‘পদলি গুর্জার’ নামে কোনো স্থানে বসবাস করছেন না। মামলার তদন্ত চলছে। যারা এই ধরনের ভিডিও পোস্ট করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’।