এক যুগ পেরিয়ে এলাম আজ!
তোমার অভাব বোধের কাঞ্চনজঙ্ঘা বানিয়ে ফেলেছি আপন হৃদয়ে!
আমি এখন উপরে একদম শান্ত স্নিগ্ধ ,হাসিতে ঢেকে রাখি নিজেকে, ভেতরে অনর্গল আঘাতের লাভার বিচ্ছুরণ!
ঘড়িতে সময় ঠিক বারোটা বেজে মিনিট দশেক,
এখন ঠিক কোন স্টেশনের কতো নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছো খুব জানতে ইচ্ছে করে!
জানতে পারলে ছুটে গিয়ে বলতাম আপন মানুষগুলোর মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কুৎসিত রূপের কথা!প্রতিদিন ঠকে যাওয়ার কথা!
বলতাম এই পৃথিবীতে বাবা ও মা ছাড়া নিজের বলে কেউ হয় না!
যাদের তুমি বিশ্বাস করেছিলে তারা কিভাবে আমাকে ক্ষত বিক্ষত করে একলা পথে নামিয়েছে!
বলতাম তোমার দেখানো পথে পারিবারিক শিক্ষাকে আশ্রয় করে হেঁটে চলেছি বলেই হয়তো এতো ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছি নিজের পায়ে ,শিরদাঁড়া সোজা করে!
অন্যায়ের সাথে আপোস না করে দিব্য আছি জানো?
বিপদে পড়লে তোমার মুখ স্মরণ করলেই উপায় নিজেই ধরা দেয়, কিংকর্তব্যবিমূঢ়তা থেকে বের হয়ে আসি!
এখনো কি চা খাওয়ার জন্য কারুর সাথে ঝগড়া করো?আলু পোস্ত আর বিউলির ডাল?এখনো খাও?খাট ছেড়ে এখনো কি মাটিতে শোও?
খুব জানতে ইচ্ছা করে!
শুধু মাথার উপর ছাতাটা কোথায় হারিয়ে গেলো বাবা!বড্ড একা হয়ে গেছি !তোমার মতোন করে কেউ বোঝেনা!
সম্পর্ক বর্তমান কিন্তু মানুষ নেই ,কি নিদারুণ যন্ত্রনা এই অনুভবে !
যতদিন বেঁচে আছি তুমি আছো সাথে!
এখন ঝড় জল বৃষ্টিতে একলা পথ চলি,তোমার কাছে যাওয়ার দিন গুনি!
শুনেছিলাম আত্মা অবিনশ্বর,মৃত্যু নেই,আবার নতুন জন্ম নেয়!তবে এখন এক যুগ পর আজ কোথায় আছো?যদি আজ ঘুমিয়ে পড়ি তবে স্বপ্নে এসে বোলে দিয়ে যেওতো বাবা।।