কবিতা বলতে আমি বুঝি
সেই অবুঝ মেয়েটাকে
যার মনের হদিস কে বা রাখে
কোনো কিছুর আঘাতেই যার
চোখে জল আসে, রক্তাক্ত হয় হৃদয়।
ঝর্ণার মতো দুরন্ত যার গতি
একটু অবহেলায় যে খুঁজে নেয়
তার নতুন পথের দিশা।
জোৎস্নার আলোয় মাখামাখি
হয়ে যায় তার আঁচল।
সেই আঁচলে জোৎস্না ভরে রেখে
দেয় সে
যখন আঁধার নামে সেই
আলোয় সে পথ চলে।
কারণে অকারণে যে ভালোবাসতে পারে কবিতার প্রেমে সে পরে বারংবার,
সেই মেয়েটার চুলের খোঁপায় বাঁধা থাকে কদমখানি।
বকুল ফুলের গন্ধে ভরে থাকে তার আঙিনা শিউলি ফোটা ভরে তার
উঠোনে বিছিয়ে থাকে ফুল।
শরতের ভোরে সেই শিউলির সুবাসে
সেই মেয়েটি নিজেকে ভরিয়ে তোলে।
পলাশের রঙে রাঙায় তার ওষ্ঠ
কবিতার প্রেমে পড়ে
কবিতাকে ভালোবেসে।
চিরসত্য এই প্রেম।
নীল আকাশের মিঠে রোদ যখন পরে তার আঙিনায়
সেই ক্ষণে জন্ম নেয়
তার দুরন্ত আশা
যে আশা পূর্ণতা পাবে না জেনেও সে আশাবাদী হয়ে রয়।
সে কবিতায় থেকে তার সুপ্ত আশা কে
পূর্ণতা দিয়ে যায়
মনের মন্দিরে যার বাস
কি রূপে খন্ডিবে
তারে
এ জগৎ সংসার।।