এইদিন ওয়েবডেস্ক,বারাসত,০৬ মার্চ : আজ বারাসতে জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর । বারাসতের পাশেই বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি এলাকা । তৃণমূল নেতাদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে যাবেন বলে ঠিক হয়েছিল । বারাসতের কাছাড়ি ময়দানে নারী শক্তি বন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালেই বারাসতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মহিলারা । কিন্তু প্রথমে নিউটাউনে বিশ্ববাংলা গেটের কাছে সন্দেশখালির গ্রামের বাসিন্দাদের বাস পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ । এরপর ফের এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের কাছে সন্দেশখালীর মহিলাদের বাস আটকে দেওয়া হয় । তা সত্ত্বেও মোট ৮-১০ টা বাসে বারাসতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন সন্দেশখালির অনেকে । অবশ্য পুলিশের তরফে জানানো হয় যে প্রধানমন্ত্রীর সবার জন্যই সন্দেশখালীর বাসিন্দাদের বাস আটকানো হয়েছিল । যদিও বারাসতের সভা শেষ হতেই মঞ্চের পিছনে সন্দেশখালির ৫ মহিলার সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তাদের অভিজ্ঞতা এবং অভিযোগের কথা মন দিয়ে শোনেন তিনি ।
এদিনের সভাতে তৃণমূল কংগ্রেস সহ ইন্ডি জোটকে কার্যত তুলধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী । প্রধানমন্ত্রী বলেন,’মহিলাদের সুরক্ষা, সুবিধা ও স্বশক্তিকরন এটা মোদীর গ্যারান্টি । আজ দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সমাজের একজন বেটি । মোদী মেয়েদের সংরক্ষণের গ্যারান্টি দিয়েছিল এবং তা পূরণ করেছে । মুসলিম মহিলাদের তিন তালাক কুরীতি থেকে মুক্তির গ্যারান্টি দিয়েছিল, তা পূরণ হয়ে গেছে । তখন টিএমসি বামপন্থী এবং কংগ্রেসের ভূমিকা কি ছিল ? ইন্ডি জোটের দলগুলি তখনও কট্টরপন্থীদের সঙ্গে ছিল এবং আজও তাদের সঙ্গে রয়েছে ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,’দেশের বিকাশের জন্য নারী শক্তিকে সুযোগ দেওয়া খুবই জরুরী । বিজেপির প্রচেষ্টার কারণে আজ দেশের প্রতিটা সেক্টরে মহিলাদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে । কিন্তু এটা মনে রাখবেন যে দেশের যে যে রাজ্যে ইন্ডি জোটের সরকার আছে, সেখানকার মহিলারা অত্যাচারিতা হচ্ছেন । পশ্চিমবঙ্গের টিএমসি নামের যে গ্রহণ লেগেছে, সেই কারণে রাজ্যের বিকাশ হচ্ছে না, এই কারণে ইন্ডি জোটকে আপনাদের হারাতে হবে । দেশের প্রতিটি কোনায় পদ্ম ফুল ফোটাতে হবে ।’।