এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৪ মে : উত্তরপ্রদেশে পৃথক ঘটনায় ২ হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণ ও গনধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । একটি ঘটেছে আমরোহা জেলার জুনওয়াই থানা এলাকায় । অন্য ঘটনাটি আমেঠি জেলার মোহনগঞ্জ থানা এলাকার । ওই দুই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতদের নাম শাবাব আলম ও ওয়ারিশ ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,ধৃত শাবাব আলমের বাড়ি আমরোহা জেলাতেই । সে জুনওয়াই থানা এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিল । নির্যাতিতা কিশোরী শাবাব আলমের আত্মীয়ের প্রতিবেশী পরিবারের । ঘটনার দিন গভীর রাতে ওই কিশোরী যখন ঘুমচ্ছিল সেই সময় চুপিসারে তাদের বাড়িতে ঢোকে শাবাব আলম । ওই যুবক মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । সেই সময় পরিবারের কোনো এক সদস্যের বিষয়টি নজরে পড়লে তিনি শাবাব আলমকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন । ইতিমধ্যে পরিবারের বাকি লোকজন জেগে গেলে তারা ধর্ষক যুবককে আটকে রেখে জুনওয়াই থানায় খবর দেয় । পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ।
দ্বিতীয় ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের আমেঠি জেলার মোহনগঞ্জ থানা এলাকার দলিত সম্প্রদায়ের এক ১৪ বছরের কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১০ মে ২০২৩) রাতে ।
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, বুধবার রাতে গ্রামের দুই যুবক তাঁর বাড়ির মোবাইল নম্বরে ফোন করে। সেই সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিল । কিশোরী ফোনে কথা বলাএ পর তুলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দা ওয়ারিস ও আরও এক যুবক ওই কিশোরীকে বাইকে করে তুলে গ্রামের বাইরে নিয়ে যায় । সেখানে তারা কিশোরীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ।
গনধর্ষণের পর নির্যাতিতা কিশোরীকে ফেলে পালানোর আগে তারা হুমকি দিয়েছিল যে, কোথাও মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর মেয়েটি বাড়িতে এসে ঘটনার কথা খুলে বলে । যদিও থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই চম্পট দিয়েছে দুই ধর্ষক । পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ), এসসি/এসটি আইন এবং পকসো (POCSO) ধারায় মামলা রজু করে তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে ।।

