প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৮ এপ্রিল : শুভেন্দু অধিকারীর সভার পর দিনই বিজেপির যুবমোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । এই ঘটনাকে কেন্দ্রকরে শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমানের ঢলদীঘি মোড়ে । দলের নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ বিজেপির অন্য কর্মী সমর্থকরা ঢলদীঘি পৌছায় । উত্তেজনা চরমে ওঠার আগেই পুলিশ সেখানে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে । এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিন বিকালে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। যে মিছিলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য,স্বপন দেবনাথ, বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাস সহ বহু নেতা কর্মী অংশ নেন ।
আক্রান্ত বিজেপি নেতা পিন্টু সাম জানান,রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুক্রবার বর্ধমানে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দেন। সেই কর্মসূচীকে সামনে রেখে শহর বর্ধমানের বিভিন্ন রাস্তায় বিজেপির দলীর পতাকা লাগানো হয়েছিল। পিন্টু সামের
অভিযোগ,এদিন বেলায় তিনি যখন বাইকে চেপে
বর্ধমান স্টেশনের দিক থেকে আসছিলেন তখন দেখেন রাস্তায় বাঁধা বিজেপির দলীয় পতাকা কয়েকজন খুলে ফেলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছে । এমনটা দেখেই তিনি প্রতিবাদ করেন । তখনই তার দিকে একজন তেড়ে আসে ।ওই ব্যক্তির পিছনে আরো দু’জন ছিল।ওই ব্যক্তিদের তিনি বাধা দিতেই তারা তাঁর হাতে ছুরি চালায় । পিন্টু সাম দাবি করেন,হাতে ছুরির আঘাত পেয়েই প্রাণ নাশের আশঙ্কায় তিনি কাছাকাছি একটি দোকানে ঢুকে রক্ষা পান। পিন্টু সাম এও দাবি করেন,যে জায়গায় তিনি আক্রান্ত হন সেই জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে । পুলিশ তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই জানতে পারবে কারা আক্রমণকারী।
বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল । সেই কর্মসূচীতে রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলও ছিলেন।শ্যামাপদবাবু রাতে গতকাল বর্ধমানেই ছিলেন । এদিন বেলায় শ্যামাপদবাবুকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে দিয়ে পিন্টু ফিরছিল । ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন তাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে পিন্টুর উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় ।
যদিও বিজেপি নেতার আনা এই সব অভিযোগ
মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন,শুক্রবারর শুভেন্দু অধিকারীর সভায় লোকজন হয়নি । তাই
এইসব মিথ্যা অভিযোগ করে বিজেপি নেতারা বাজার গরম করতে চাইছে । শনিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দুর পাল্টা মিছিল আছে জেনে
এইসব অবিযোগ ওরা তুলছে।নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের আড়াল করতে বিজেপি নেতারা এইসব
অভিযোগ করছে কিনা তারও তদন্ত হওয়া দরকার
বলে প্রসেনজিৎ দাস মন্তব্য করেছেন ।।