এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১২ ফেব্রুয়ারী : তীব্র আর্থিক সঙ্কট ও খাদ্য সঙ্কটের মাঝেও স্বাধীনতাকামী বেলুচিস্তানের নাগরিকদের উপর অমানবিক দমনপীড়ন অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী । এক মাসের মধ্যে বেলুচিস্তান থেকে ৪১ জনকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে বলে একটি রিপোর্টে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা প্রাঙ্ক বিবিএম ( PaanK BNM) । নিখোঁজ ৪১ জনের মধ্যে রয়েছে ১৮ জন ছাত্র এবং একজন সাংবাদিক । প্রাঙ্ক-এর মাসিক রিপোর্টে এই খবর জানিয়ে বলা হয়েছে,পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টর্চার সেলে ওই ৪১ জনের উপর অমানবিক নির্যাতনের পর তাদের আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি । পাঙ্কের মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারীর মধ্যে বেলুচিস্তানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাঙ্ক (Paank) দ্বারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই প্রবণতাটি স্পষ্টভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করে। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি,নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কনভেনশন (CAT) এবং নিষ্ঠুর, অমানবিকতার বিরুদ্ধে অন্যান্য কনভেনশন সহ বহু আন্তর্জাতিক চুক্তিতে জীবন ও নির্যাতন থেকে মুক্তির অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতন বিশ্বব্যাপী নিন্দিত এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ, তবুও এই কৌশলগুলি বেলুচিস্তানে জোরপূর্বক দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ব্যবহৃত করছে পাকিস্তান সরকার । পাঙ্ক দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানকে এই বিষয়ে জবাবদিহি করতে এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগী হোক । এছাড়া জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সহিংসতার শিকার এবং তাদের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ, তদন্ত এবং সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করা উচিত বলে মনে করছে পাঙ্ক ।
পাঙ্ক জাতিসংঘে ইউপিআর (ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ)-এর ৪২ তম অধিবেশনে ভারত, ইজরায়েল, হল্যান্ড, ইতালি, প্যারাগুয়ে এবং অন্যান্য দেশের কথা উল্লেখ করেছে । পাকিস্তানকে জোরপূর্বক গুম বন্ধ করার জন্য এই দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে এবং পাকিস্তানে বিভিন্ন লিঙ্গ ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।।